জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬৮]
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (সূরা আলি ইমরান ১৩০)
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমাদ ২১৪৫০)
উল্লেখ রয়েছে যে,
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেই পরিমান উপহার ব্যবহার করেছেন,তার আনুমানিক একটি হিসেব কষে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
কেননা হারাম সম্পদের ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ-
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34،
الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
(০২)
সূদী ব্যাংকের এসব উপহার কোনোভাবেই গ্রহন জায়েজ নয়।
ইসলামী ব্যংক গুলোর হলে সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ইসলামী স্কলারগন এসব উপহার না নেওয়ার কথাই বলেন।
,
কেননা অধিকাংশ আলেমদের মতে এসব ব্যংকেও সূদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
(০৩)
ব্যাংকে থেকে যেই বৃত্তির টাকা দেয়া হয়,তাহা সূদ হতেই দেয়া হয়।
তাই যারা যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত, তথা যারা গরিব (যাকাত যাদের উপর ফরজ নয়) তারা এই বৃত্তি গ্রহন করতে পারবে।
,
তবে ধনীর নাবালেগ সন্তান এই বৃত্তি নিতে পারবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ