আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
269 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

১/আমি যদি মানসিক চাপ নিতে না পেরে বা দুনিয়াবি কাজের কারনে সাথে সাথে তওবা কালেমা পড়তে না পারলে বা মনে মনে পড়তেসি এমন সময় অন্য কারনে স্টপ হয়ে যায় এতে কি শিরক বা গোনাহ হবে??আযানের সময় কালেমা আগে পড়ব নাকি ইমান নবায়ন?

২/আমি মনে মনে কুচিন্তা গুলার জন্য ক্ষমা ও কালেমা পড়তে গেলে আমার আবার গোনাহ টা মনে পড়ে আবার খারাপ লাগে আবার ক্ষমা চাই,এতে মানসিক চাপ বেড়ে যায়,,,আমি যদি মানসিক চাপ কমাবার জন্য নিয়ত করি কিছুসময় পর ক্ষমা চাইব বা এসব মনে না পড়ার জন্যক্ষমা না চাই এতে কি গোনাহ হবে?

৩/কেউ কাফের হল কি হল না ইমান ভাংলো কি ভাংল না এসব কি প্রকাশ্য কাজের বা কথার জন্য ধর্তব্য হবে? অন্তরের  ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত নিয়তের জন্য ধর্তব্য হবে?

৪/সব মিলিয়ে আমি কি ধরব?? যত কিছু হোক আমি মুসলিম??

৫/আমি অবিবাহিত আমার বাবা নাই,,তবে ঘর ভাড়া আম্মু নিজের মেডিসিন খরচ আর ঘরে দেয় ঘর খরচ হিসাবে।।সাথে দুই ভাইও বউ বাচ্চা নিয়ে এক সাথে।বড় ভাই ব্যাংক এ চাকরি করে আর ছোট ভাই টিউশন করে ঘর খরচ দেয়।প্রতিজনে ১৫হাজার আর আম্মু মনে হয় ঘর ভাড়া থেকে ৮-১০ হাজার এর কম বেশ দেয়।আমি সিউওর না।আমি  ব্যাংক বা হালাল এর দূরে থাকতে আম্মুকে বললে আম্মু বলে ঘর ভাড়ার টাকা ছাড়া টাকা কোত্থেকে ।।আমাদের অনেক টাকা ব্যাংকেও জমা  রাখা।।আমি সিউর না সেখান থেকে প্রফিট নেয়া হয় কিনা প্রতিমাসে তবে মনে হয় প্রতিমাসে না হলেও কয়েকমাস পর নিতে পারে আমি সিয়র না।আমি টিউশন করি তবে ঘরে দি না নিজের প্রয়োজন এ ইউজ করি,আমি  টিউসন থেকে অনেক সময় বেতন নি না।।।এখন আমি কিভাবে হালাল চলব?

৬/আমি যদি এমতাবস্থায় অন্য কোন গোনাহ শিরক কুফরির জন্য তওবা করে ইমান নবায়ন করি তাহলে কি ইমান নবায়ন হবে?

 

৭/আমি এক জায়গায় বেড়াতে যাবার সময় ভাবলাম বোরখা পড়ে যাওয়া উচিত।আবার ভাব্লাম বোরখা পড়ে গেলে আম্মু বকা দিতে পারে।।তাই ড্রেস পড়ে যাব।পরে ভাবলাম আল্লাহকে বেশি ভয় করা উচিত,,আম্মুর বকাবকির ভয়ে কেন বওরখা পড়ব না।পরে ভাবলাম আমি বোরখা পড়ে গেলে বাকি মেহমান রা কি বলবে,,আমি বেপর্দায় গেলে কবিরাহ গোনাহ হবে।অমুসলিম হব না।আমি জানি পর্দা ফরয।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমি শিরক করে ফেলেছি কিনা আম্মুর বকাবকি নিজের ইচ্ছা মানুষ এর কথাকে পাত্তা দিতে গিয়ে।। আল্লাহর প্রতি ভয় সবচেয়ে বেশি রাখা দরকার।।এতে কি শিরক হল?

 

৮/আমার আইন ও বড় হা উচ্চারনে কিছুতা প্রবলেম হয়।।আমি কালেমা শাহাদাত পড়ার সময় ঠিক মত এইদুটা উচ্চারন করতে না পারলে ও কি ইমান নবায়ন হবে? কালেমা তাইয়্যেবাহ পড়লেও কি হবেনা? 

৯/ কালেমা উচ্চারনের সময় অন্তরে আজেবাজে জিনিস আসে,তারপরেও কালেমা পড়লে কি ইমান নবায়ন হবে?

   

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার সকল সমস্যার সমাধান হল, একজন শিক্ষকের কাছে সরাসরি জ্ঞানার্জন করা।আপাতত আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নাসায পড়বেন।এবং সুন্নত নফল নামায পড়বেন। দুঅায়ে মাছুরা সমূহ পড়বেন।আর কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন না। এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব আপনার জন্য উপকারী নয়। সুতরাং সব চিন্তা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নামায পড়ুন।পর্দা করুক।আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন
by (589,140 points)
আমার পরামর্শ মানবেন কি না? আমাকে জানাবেন?
by (21 points)
স্যার ৪/৮/৯ নাম্বার টা জানালে উপকার হত! 
আমি মেয়ে মানুষ,, সরাসরি স্যার কি মাদ্রাসায় গিয়ে পড়তে বলতেসেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...