আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি মেয়ে। বয়স ২১।
আমি ৩ বছর ধরে একটা হারাম সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম যার জন্য এখন আমি খুবি অনুতপ্ত। সমবয়সী প্রেম।
প্রেম থাকাকালীন আমি তার সাথে শারীরিক অ মানসিক ভাবে জড়িত  ছিলাম। শারিরীক ভাবে খুব গভীর না থাকলেও সেটা যেনার ই অন্তর্ভুক্ত।
এখন কিছু কারনে সে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।   এমন না যে সে আমাকে ব্যবহার করেছে বা মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে এইসব করে ছেড়ে দিয়েছে। দুইজন এর ভেতরের ঝামেলা ও অশান্তির জন্য ছেড়েছে আর এটাও বলেছে যে আমাকে ছাড়ার আরেকটা বড় কারন হচ্ছে হারাম সম্পর্কে না থাকা। সে বলেছে এই অশান্তি ও ঝামেলার জন্য কাওকেই বিয়ে করতে চায় না। আমার উপর সে খুব বিরক্ত।
তাও আমি তাকে হালাল ভাবে পেতে চাই কিছু কারনে।

১। তার সাথে আমার শারীরিক মানসিক ভাবে জড়িত
২। অন্য কোথাও বিয়ে করলে সেই অন্য জনকে ধোকা দেওয়া হবে,  কারন আমি তার হক নষ্ট করেছি। ( এটাই আমাকে দিন দিন খেয়ে ফেলছে যে অন্য কোথাও বিয়ে হলে তো তাকে ঠকানো হবে। আমি কেন এ পাপ করছি। আমি ভীষণ লজ্জিত ও অনুতপ্ত।  আমি বারবার ক্ষমা চাচ্ছি আল্লাহ এর কাছে। আর বলছি যার সাথে জড়িত হয়েছি তার সাথেই যেন আমাকে হালাল করে দ্ব্য। হারাম চাই না আমি আর। আমি অনেক অনুতপ্ত )
৩। সে দ্বিন পালনে উতসাহ দিয়ে থাকে যা আমার পরিবার থেকে আমি পাই না। সে আমাকে দ্বিন অনুযায়ী চলতে জোর দিত এবং এটাও বলত যেন আমি তার কথায় না করে আল্লাহ ও নিজের ভালোর কথা চিন্তা করে করি দ্বিন এর চলাফেরা। সে তার মা ও বোনের সাথেও একই। তারা দ্বিন পালনে ভুল করলেও সে অনেক রাগ করে। আমার পরিবার এ ব্যাপার এ উদাসীন।  ভালো কারন হলেও আমার মাকে দেখেছি তাবিজ ব্যবহার করতে। বড় বোনকে নামাজ ওয়ালা বাড়িতে বিয়ে দিলেও তারাও ভন্ড, মাহরাম মানে না। এইসব আমার এখন আর ভালো লাগে না। এই ভালো মন্দ আমি তার কাছ থেকেই জানতে পেরেছি।তার কাছ থেকে দ্বিনসহ অনেক কিছুই শিখেছি এখনো চেষ্টা করছি।  যেমন রাগ এর সময় চুপ থাকা। আমার পরিবারে এইসব শৃঙ্খলার শিক্ষা দেওয়া হয় নি। বকা গালি এগুলি শুনেছি শুধু। আমাএ বিশ্বাস তার সাথে থাকলে আমি দ্বিন আরো ভালো ভাবে পালন করতে পারবো যা এখন এখানে থেকে পারছি না। আমি আরো জ্ঞান আর্জন করতে পারবো।

এর জন্য আমি তাকে চাচ্ছি হালাল ভাবে পেতে। কিন্তু সে বলে দিয়েছে সে কখনো আমাকে বিয়ে করতে চায় না। তবে আমার আল্লাহর উপর বিশ্বাস আল্লাহ চাইলেই সব সম্ভব। আমি এই বলে দুয়া করি-
আমাকে আর তাকে যেন একে অপরের জন্য কল্যানকর করে তারপর হালাল করে দেয়,  আমার দ্বারা যেন অন্য ব্যাক্তি কে ধোকা দেওয়া না হয় আর আমার কৃত কুকর্মের জন্য মাফ চাই।
আমি অনেক লজ্জিত। দয়া করে আমাকে সাহায্য করবেন। এওভাবে দুয়া করলে কি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব? বা কীভাবে দুয়া করলে কোন আমল করলে আমার এই নেক আশা পূরণ হবে?
আমি সত্যিই খুব লজ্জিত। বারবার মাফ চাচ্ছি। আমি আর হারাম সম্পর্ক চাই না। দয়া করে সাহায্য করুন যে কীভাবে আল্লাহর কাছে এ ব্যাপার এ সাহায্য চাইলে সফল হব।
আমি জানি আমি চাইতে পারলে আল্লাহ অবশ্যই দিবেন। আল্লাহ সব করতে পারেন।  আল্লাহ বলছে যা দরকার উনার কাছে চাইতে। আমি কিভাবে চাইব?
আল্লাহ আমালে মাফ করবেন,  আমার নেক আশা ফেল্ব দিবেন না এটা আমার বিশ্বাস।  আল্লাহ আমার দুয়া কবুল করব্বন এটাও আমার বিশ্বাস।  এখন কি করতে হবে আমাকে তা একটু বলে দিন। যেন আমার আল্লাহ আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে তাকে আর আমাকে ইহলোক ও আখিরাতের দ্বিনদার জীবন সঙ্গী হিসেবে কবুল করেন।

1 Answer

+1 vote
by (590,760 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
প্রথমে অতীতের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন। তাওবাহ করবেন। তারপর বর্তমানে ইসলামকে পূর্ণভাবে মেনে চলার চেষ্টা করবেন। এবং আল্লাহর কাছে উদ্দিষ্ট বিষয় নিয়ে দু'আ করবেন।আল্লাহর হুকুম ব্যতিত কোনো কিছুই হয় না। সুতরাং আপনি তাহাজ্জুদ এবং সালাতুল হাজতের মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকুন।আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।

https://www.ifatwa.info/1453 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যখন কেনো মানুষের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন দেখা দিবে,তখন তার জন্য সালাতুল হাজত পড়া মুস্তাহাব।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তির আল্লাহর নিকট কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে, বা কোনো মানুষ সম্পর্কিত কোনো প্রয়োজন দেখা দিবে,সে যেন উত্তম রূপে অজু করে,অতঃপর দু' রাকাত নামায পড়ে।নামাযের পর আল্লাহ তা'আলার হামদ ও ছানা এবং নবী সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ পূর্বক নিম্নোক্ত দু'আকে যেন সে পড়ে নেয়।
 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الحَلِيمُ الكَرِيمُ، سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ العَرْشِ العَظِيمِ، الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ، أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ، وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ، وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ.
(সুনানু তিরমিযি-৪৭৯)

আল্লাহকে বলুন, তাকে কল্যাণকর বানিয়ে তার সাথে আপনার ঘর সাজিয়ে দিতে।আল্লাহর কাছে বলতে থাকুন,দু'আ করতে থাকুন।আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছে, উনাকে ডাকলে উনি সাড়া দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...