আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (15 points)
আসসালামু আলাইকা  ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু !
সম্মান্বিত শায়েখ,
১/ছোট বাচ্চাদের সতর কি বড়দের মত?
 খুব ছোট বেলায় মানে নবজাতক বাচ্চাকে ফুলহাতা জামা, স্যালোয়ার এগুলা তো পরানো যায় না।
কত মাস থেকে এগুলার ট্রেনিং দেওয়া ভাল?

২/নবজাতক বাচ্চাকে দেখে মা / বাবা হিসেবে ১ম সাক্ষাতে কি কি দুয়া করা যায়?.
 
অগ্রীম জাযাকাল্লহু  খইরন। ❤️

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/6847/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

তিন-চার বছর বয়সী শিশুর উপর সতরের বিষয় নেই ঠিকই, কিন্তু এজন্য প্রয়োজন ছাড়াও তাদেরকে উলঙ্গ করে রাখতে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে। তবে হাঁ, এক-দেড় বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এতে তেমন একটা দোষ নেই। কিন্তু এর চেয়ে বেশি বয়সী বাচ্চার প্রয়োজন ছাড়া সতর খুলে রাখা ঠিক নয়।

আর বাচ্চার বয়স চার বা তার বেশি হলে তার সামনে ও পিছনের সতরের অংশ ঢেকে রাখা জরুরি। এ বয়সের পরও তাদেরকে সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন রাখা গুনাহ।

এরপর বাচ্চার শারীরিক গড়ন স্পষ্ট হয়ে উঠছে এমন বয়সে উপনীত হলে সতরসহ আশপাশের অঙ্গ যথা উরু ইত্যাদি ঢেকে রাখা জরুরি। এবয়স থেকেই বাচ্চাকে পূর্ণ পোশাক যথা পায়জামা পরানো ভালো। যেন সাত বছর থেকেই পূর্ণ পোশাকে শিশু অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর নয়-দশ বছর থেকে বাচ্চার সতর বালেগদের মতোই, একই হুকুম। -রদ্দুল মুহতার ১/৪০৭-৪০৮; ইলাউস্ সুনান ২/১৭১-১৭২

 

সাত বছর বয়স থেকেই মেয়ে সন্তানদের পর্দা পালন করতে বলতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে- আমর ইবনু শুআইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি আমরের দাদা (আব্দুল্লাহ ইবনু আমর) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مُرُوا أوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاةِ وَهُمْ أبْنَاءُ سَبْعِ سِنينَ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا، وَهُمْ أبْنَاءُ عَشْرٍ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ في المضَاجِعِ».

তোমরা নিজেদের সন্তান-সন্ততিদেরকে নামাযের আদেশ দাও; যখন তারা সাত বছরের হবে। আর তারা যখন দশ বছরের সন্তান হবে, তখন তাদেরকে নামাযের জন্য প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’’ (আবূ দাউদ, হাসান সূত্রে)

,

সুতরাং পর্দাও যেহেতু ফরজ বিধান,তাই ০৭ বছর থেকেই প্রাক্টিস হিসেবে তাদেরকে পর্দা করার কথা বলতে হবে।

আরো ছোট থেকেই শিখাইতে হবে।

 

প্রচলন অনুযায়ী পর্দার সময় স্রাব চালু হওয়াকেই ধরে নেওয়া হয়। এর আগে পর পুরুষের সামনে বে-পর্দা হওয়াকে গুনাহ মনে করা হয় না। অথচ মেয়েরা পরিপূর্ণ বালেগ হওয়ার আগে যখন শরীরের বাহ্যিক দিকগুলো বালেগদের মত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে তখন থেকেই তাদের উপর পর্দা করা জরুরি হয়ে যায়। এ পর্যায়ে পর্দার বিধানটা গুনাহ ও ফেতনা থেকে মুক্ত থাকার জন্যে। ফিকাহবিদগণ নয় বছর বয়স থেকেই শরীরের গড়ন অনুযায়ী এ হুকুম আরোপিত হতে পারে বলে মত ব্যক্ত করেছেন।

,

সুতরাং সাত বছর বয়সে পর্দার হুকুম করবে,আর নয় বছর বয়স থেকে বাধ্যতামূলক পর্দা পালন করাতে হবে।

নয় বছর পরেও যদি পর্দা না করানো হয়,তাহলে বাবা মা গুনাহগার হবেন।

 

রাসূল সা. হাসান ও হুসাইনের জন্য এই বলে (আল্লাহর কাছে) আশ্রয় প্রার্থণা করতেন-

 أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ.

“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার উসিলায় তাদের দুইজনের (হাসান ও হুসাইন) ব্যাপারে প্রত্যেক শয়তান ও ক্ষতিকর বস্তু এবং যাবতীয় বদ নযর হতে (আল্লাহর কাছে) আশ্রয় চাচ্ছি।” সহীহ বুখারী: ১/৪৭৭, হাদীস নং- ৩২৫৭

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, শিশুদের সতর হুবহু বড়দের মত না। উপরে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।  সুতরাং আপনি বাচ্চাকে তার শরীরের গঠনের দিকে খেয়াল করে জামা কাপড় পরানোর অভ্যস্ত করাবেন। তবে এতো অল্প বয়সে শিশুকে ফুলহাতা জামা, স্যালোয়ার কাপড় পরাবেন না যাতে শিশুর খুব কষ্ট হয়। আর বড়দের সতর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/2833/?show=2833#q2833

 

২. এই দুআ পড়তে পারেন-

أُعِيْذُك بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...