।।আসসালামু আলাইকুম।।
আমি বালেগ হওয়ার আগে থেকে নামাজ পড়তাম আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু ১-২ ওয়াক্ত। এইভাবে ধারাবাহিক ভাবে চলে এবং হিসাব করলে বালেগ হওয়ার পর থেকে ও একই ছিলাম, ১-২-৩ ওয়াক্ত পড়া হতো। এবং আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং এক সময় ৫ ওয়াক্ত পড়তাম আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু মাঝে মধ্যে ফজর বা অন্য কোন নামাজ মিস যাতো।
তখন পর্যন্ত আমার দ্বীনি বুঝ ছিল না, অনেক কিছু জানতাম না। ওই সময় কিশোর বয়সে বিভিন্ন গুনাহতে লিপ্ত ছিলাম এবং ইচ্ছাকৃত এমন কিছু(বীর্যপাত) করেছি, ফলে আমার গোসল ফরজ হয়ে যেত,কিন্তু আমি তো তখন কিছুই জানতাম না আর জানার চেষ্টাও করিনি, মোট কথা গাফেল ছিলাম।আর ওই অবস্থায়ই নামাজ আদায় করেছি(নাউজুবিল্লাহ)।কিন্তু নামাজ ওমন বিচ্ছিন্ন ভাবে হতো আলহামদুলিল্লাহ।
তো উপরের বর্ণনা মতে, বালেগ হওয়ার পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত ওমন বিচ্ছিন্ন ভাবে ১-২-৩ ওয়াক্ত পড়তাম আলহামদুলিল্লাহ। তারপর থেকে ৫ ওয়াক্ত পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু ১-২ ওয়াক্ত মিস যেত কিন্তু কম,এই সময় টুকু ছিল ১.৫ বছর বা এর বেশি। তারপর আল্লাহ দ্বীনি বুঝ দেয় তখন থেকে চেষ্টা করেছি খারাপ-অশ্লীল পথ থেকে ফিরে আসার। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাওফিক ও দিয়েছিল, তাই সফল হয়েছি। কিন্তু এর মাঝে একটা ভুল থেকে যায় আমি তখন ও জানি না ফরজ গোসল কি। ফলে সত্যের আলো দেখার পরও, আমার সপ্নদোষ হলে আমি ফরজ গোসল করিনি, কারন আমি জানতাম না। এবনব ওই অবস্থায়ি নামাজ পড়তাম তবে নাপাকি লাগার স্থান ধুয়ে ফেলতাম।তো এই সময়টুকুর ব্যাপ্তিকাল ছিল ২-৩ মাস। পরে আল্লাহর রহমতে, জানার তাওফিক হয়। তখন থেকে মহান রবের দয়ায় শীত-গরম কোন দিন গোসল ফরজ হলে বাদ দিনি।
যাইহোক, আসল কথা হলো, এইযে আমার বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেক নামাজ কাজা গেছে। এর হিসাব তো আসলে মেলানো যাবে না। কিন্তু ব্যাপ্তিকাল হিসাবে দেখা যায় প্রায় ৪ বছর(হয়ত ১.৫-২ মাস কম হতে পারে) পর্যন্ত নামাজ কাজা এবং নামাজ হয়ই নি(গোসল ফরজ হলে যেহেতু করা হতো না)। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে এমন হয়েছে যার সঠিক হিসাব জানা নাই।
[[[আবার আরেকটি মাসআলা একটু বলবেন, যেহেতু গোসল ফরজ হলে গোসল করতাম না তার মধ্যে একসময় গাফেল থাকার জন্য আরেক সময় না জানার জন্য(কিন্তু এই সময়ে আল্লাহ বুঝ দিয়েছিল তাই ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা ছিল অপরিসীম, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এই বিষয়টা না জানা থেকে যায়)। তো নামাযের মতো করে হিসাব করলে দেখা যায় বালেগ হওয়ার পর দীর্ঘ ৪ বছর বা তার কিছু কম সময় পর্যন্ত কোন ফরজ গোছল করা হয়নি। এখন প্রশ্ন--আমার এই দীর্ঘ সময়ের সব নামাজ কি বাতিল হয়ে গেছে?]]]
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি সব নামাজ বাতিল হয় তো তাহলে সব উমরি কাজা আদায় করতে হবে এর হিসাব তো ক্লিয়ার।
কিন্তু যদি এমন হয় যে, সব নামাজ বাতিল হয়নি কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে যা কাজা করেছি শুধু তাই-ই কাজা হয়েছে। তাহলে কিভাবে উমরি কাজা আদায় করবো? (যদিও এর ব্যাপ্তিকার স্পষ্ট, ৪ বছর বা তার কম)