আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
বাংলাদেশের হানাফী মাযহাব অনুসারীরা যখন হজ্জ্ব করতে যান তখন নিম্নক্ত কিছু সমস্যাতে পড়েন যেহেতু সেখানের মাযহাব হাম্বালী। আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে, এ অবস্থাতে তাদের করণীয় কি?
যেমন, সেখানে জানাযাহর নামায শেষে শুধু ডান দিকে সালাম ফেরানো হয়। এ অবস্থা হানাফীগণ কি করবেন?
সেখানে আসরের সালাত এমন সময়ে পড়া হয় যে আমাদের মতে তখনো ওয়াক্ত হয় না। এ অবস্থায় কেউ জামাতে শরীক না হতে পারলে কি করবে? দুই মিসাল না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?
জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ-
 ১।হানাফি মুক্বতাদিগণ দু-দিকেই সালাম ফিরাবে।
দু-দিকে সালাম ফিরানো হানাফিদের মতে ওয়াজিব।
এ সম্পর্কে আল্লামা যায়লায়ী রাহ বলেনঃ-
ﻭﻫﻲ : ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺠﻨﺎﺯﺓ ﺃﺭﺑﻊ ﺗﻜﺒﻴﺮﺍﺕ ﺑﺜﻨﺎﺀ ﺑﻌﺪ ﺍﻷﻭﻟﻰ، ﻭﺻﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺜﺎﻧﻴﺔ، ﻭﺩﻋﺎﺀ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺜﺎﻟﺜﺔ، ﻭﺗﺴﻠﻴﻤﺘﻴﻦ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺮﺍﺑﻌﺔ . ﺍﻧﺘﻬﻰ .
তরজমাঃ
জানাযার নামাযের রুকুন হলো:
চার তাকবীর দিয়ে নামায পড়া(যা ফরয)।
প্রথম তাকবীরের পর ছানা পড়া।দ্বিতীয় তাকবীরের পর নবীজী সাঃ এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা।তৃতীয় তাকবীরের পর মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করা।চতুর্থ তাকবীরের পর দু-দিকে সালাম ফিরানো।(এবং এগুলা ওয়াজিব)।
তাবয়ীনূল হাক্বাঈক,১/২৪০।


ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وتسعة أشياء إذا ترك الإمام أتى بها المؤتم)
ترك السلام
তরজমাঃ নয়টি জিনিষ যদি ইমাম সাহেব ছেড়ে দেন,তাহলে মুক্বতাদি তা ছাড়বে না বরং মুক্বতাদি তা করবে।এই নয়টি থেকে একটি হল সালাম।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া,১/৯০।
তবে অন্যান্য মাযহাবের ইমামের পিছনে হানাফী মুক্বতাদির ঐ সময় ইক্বতেদা বিশুদ্ধ হবে,যখন ইমাম  সাহেবগণ বিরুদপূর্ণ সাংঘর্ষিক মতবাদ থেকে নিজেকে বাছিয়ে রাখবে, বা রাখছে বলে মুক্বতাদিদের প্রবল ধারণা হবে।
এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
والاقتداء بشافعي المذهب إنما يصح إذا كان الإمام يتحامى مواضع الخلاف بأن يتوضأ من الخارج النجس من غير السبيلين كالفصد وأن لا ينحرف عن القبلة انحرافا فاحشا. هكذا في النهاية والكفاية في باب الوتر 

তরজমাঃ শাফেয়ী ইমামের পিছনে হানাফী মুক্বতাদির ঐ সময় ইক্বতেদা বিশুদ্ধ হবে,যখন ইমাম সাহেব নিজেকে বিরুদপূর্ণ সাংঘর্ষিক মতবাদ থেকে বাছিয়ে রাখবেন।যেমন শাফেয়ী ইমাম সাহব পেশাব-পায়খানার রাস্তা ব্যতীত শরীরের অন্যান্য স্থান থেকে নাজাসত(ফুজ) বের হওয়ার ধরুন ওজু করবেন (যদিও তাদের মাযহাব মতে তা ওজু ভঙ্গের কারণ নয়)তথাপিও তিনি ওজু করেছেন।এবং ক্বিবলার দিক থেকে ইমাম সাহেব সিনাকে একবারে সরিয়ে নিবেন না।(যদিও তাদের মাযহাব মতে তা নামায ভঙ্গের কারণ নয়)কিন্তু তিনি সব মাযহাবের যথাসাধ্য অনুসরণ করে এমনটা করবেন।এমতাবস্থায় হানাফী মুক্বতাদির জন্য উক্ত ইমামের পিছনে নামায পড়া বিশুদ্ধ হবে।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া,১/৮৪।

২।
যদি তথায় এক মিছিলের পর আসরের জামাত শুরু হয়ে যায়,এবং পরবর্তিতে দুই মিছিলের সময় কোনো জামাত না পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে,তাহলে এক মিছিলের জামাতেই শরীক হবেন।নামায পড়ে নেবেন।তার উক্ত নামায শুদ্ধ হবে।কেননা আসরের ওয়াক্ত নিয়ে হানাফি উলামায়ে কেরামদের  মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
এক মিছিল ও দুই মিছিল উভয় মতামত সম্পর্কে হানাফিদের ফাতাওয়া রয়েছে।যদিও দু-মিছিলের পর পড়া অতি উত্তম।
(আহসানুল ফাতাওয়া ২/১১৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
...