বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ফরজ গোসলের মাঝে প্রস্রাব করলে, গোসলের শেষে নামাজ পড়ার জন্য আবার আলাদা করে অজু করা লাগবে। কেননা গোসলের মধ্যে প্রস্রাবের দ্বারা হাদাসে আসগার তথা ছোট হাদাস চলে এসেছে।যেজন্য নামাযের পূর্বে আবার অজু করা অত্যাবশ্যক।
(২)
দাড়ি ব্যতিত শরীরের অন্যান্য অঙ্গের লোম, যেমন হাত বা পায়ের লোম, পুরুষ এবং নারীদের জন্য একেবারে উপড়ে ফেলা বা মুণ্ডন করা নিষেধ নয়। তবে অনুত্তম।
وفى حلق شعر الصدر والظهر ترك الادب، (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى البيع-9/583، طحطاوى على مراقى الفلاح-431
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে বুকের লোম পরিস্কার করা যাবে।
(৩)
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
(৪)
https://www.ifatwa.info/990 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে বিশেষকরে স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছেন যে,আপন স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহার করতে(সূরা নিসা-১৯)।স্ত্রীর সকল হাজত পূর্ণ করা এই সদ্ব্যবহারের আওতাধীন।
সুতরাং যেভাবে স্বামীর আহবানে সাড়া দেয়া স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব।ঠিকতেমনি স্ত্রীর আহবানেও সাড়া দেয়া স্বামীর জন্য উচিৎ ও তার নৈতিক দায়িত্বের আওতাধীন।যদিও সাধারণ পরিস্থিতিতে ওয়াজিবের হুকুম আরোপিত হয় না।কিন্তু যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, স্বামী সাড়া না দিলে, স্ত্রী গোনাহে পতিত হতে পারে,এমন সম্ভাবনা রয়েছে অনদিকে স্বামীর শরয়ী কোনো উযরও নেই,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে স্বামীর জন্যও সাড়া দেয়া দিয়ানাতান তথা নৈতিকভাবে ওয়াজিব হবে।(দিয়ানাতান এর অর্থ হল, এমন হক যে হকের ইস্যু তৈরী করে কোর্টে বিচার দায়ের করা যায় না)
হযরত উমর রাযি নিজ মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে,একজন স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গহীন ভাবে কতদিন ধর্য্য ধরতে পারে?উত্তরে উম্মুল মু'মিনিন হযরত হাফসা রাযি চার মাসের কথা বলেছিলেন।
সুতরাং এত্থেকে বুঝা গেল যে,স্ত্রীর ধর্য্যহীন পরিস্থিতিতে স্বামীর জন্য স্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয়া স্বামীর উপর নৈতিক ওয়াজিব।স্বামী পাশে থাকাবস্থায় সহবাসহীন থাকা স্ত্রীর হয়তো এক দিন/সাপ্তাহও অসম্ভব হতে পারে?তাই স্বামীর শারীরিক সক্ষমতা থাকাবস্থায় স্ত্রীকে সঙ্গ দিয়ে স্ত্রীর প্রয়োজনকে পূর্ণ করা নৈতিকভাবে স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীর যদি অসুস্থতা থাকে,মন খারাপ থাকে তাহলে স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার জন্য গোনাহ হবে না। এবং স্বামী সুস্থ থাকলে,স্ত্রীর ডাকে সাড়া দেওয়া স্বামীর উপরও ওয়াজিব।
(৫)
বিরত থাকাই উচিৎ। কেননা কখনো বীর্য মুখের ভিতরে চলে যেতে পারে। যা গিলে ফেলা হারাম।