আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১| বেল্টে নাপাকি লাগলে পাক করব  কিভাবে?

২| জিন্সের প্যান্টে নাপাকি লাগলে তা ধুয়ে চিপরানো অনেক কষ্টকর। নাপাক কাপড় পাক করার নিয়ম হলো তিন বার ধোয়া আর চিপরানো এবং শেষ বার এমনভাবে চিপ্রাতে হবে যাতে আর যেনো পানি না বের হয়। কিন্তু জিন্সের প্যান্ট সাধারণত অনেক মোটা হয়। চিপরিয়ে পুরো পানি বের করা অনেক কষ্টদায়ক। এক্ষেত্রে উপায় কি?

৩| ট্যাপে নাপাক কাপড় পাক করার পদ্ধতি কি?

৪| নাপাক কাপড় পরে পুকুরে গোসল করলে তা পাক হবে?

৫| ওযুতে ওয়াসওয়াসা হলে করণিয় কি?

৬| কাপরে নাপাকি নিয়ে সন্দেহ থাকলে  কি নামাজ হবে?

৭| আমি একদিন রাতে ঘুম থেকে উঠে পেসাব করতে যায়। ওয়াশরুম থেকে বেরোনোর পর দেখি আমার প্যান্টের একটু অংশ ভিজা। এখন সন্দেহে আছি যে ঘুমের ভিতরে প্রসাব লেগেছে কি না। কারণ আমার ঘুমের ভিতোরে প্রসাবের অনেক চাপ ছিল। কিন্তু আমি অই ভিজা অংশে নাপাক বা প্রসাবের কোনো গন্ধ পাই না। হতে পারে ঘেমে গিয়ে ভিজেছে বা কোথাও থেকে পানি লেগেছে। কিন্তু আমি কোনোটিতে ই শিওর  না। সন্দেহে আছি। আমি কাপড়ের ভেজা অংশে প্রসাবের কোনো গন্ধ পাই না। এক্ষেত্রে কি আমার কাপড় টা পাক ধরা উচিত?

৮| মন ভালো করার কোনো দোয়া আছে?

৯| লম্বা হবার কোনো দোয়া আছে?

১০| নামাজে সুরা ফাতিহা পরতে ভুলে গেলে বা তাশাহুদ পরতে ভুলে গেলে সাহু সিজদা করলে নামাজ হবে?

১১| তাকবিরে তাহরিমা বলা তো নামাজের ভিতরে ফরয। কিন্তু  তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় আল্লাহু আকবর বলার জায়গায় যদি ভুলবসত আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ আকবর বলা হয় বা আল্লাহু আকবর বলার সময় যদি 'বা' এর উচ্চারণের সময় ঠোট না মেশে অথবা 'র' এর উচ্চারণের সময় যদি জিহবা একাধিক বার কম্পিত হয়, তাহলে কি নামাজ হবে না?

১২| নামাজে সুরা, তাশাহুদ,দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসুরা এবং অন্য সব দোয়া পড়ার সময় যদি মাখরাজ সমুহ সঠিক না হয়, তাহলে কি নামাজ হবে?
অগ্রিম ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র।
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি।
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে।

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত।
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
বেল্টে নাপাকি লাগলে, দৃশ্যমান নাপাকি হলে, নাপাকিকে দূর করতে হবে।আর অদৃশ্যমান হলে, তিনবার ধৌত করতে হবে। যেহেতু নিংড়ানো সম্ভব নয়, তাই শুধুমাত্র তিনবার ধৌত করলেই হবে।

(২)
জিন্সের প্যান্টকে ধৌত করে যতটুকু সম্ভব নিংড়াতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিংড়িয়ে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। পরিপূর্ণ রূপে নিংড়ানো সম্ভব হলে পরিপূর্ণ রূপেই নিংড়াতে হবে।

(৩)
ট্যাপে নাপাক কাপড়কে অদৃশমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিন বার নতুন পানি দ্বারা ধৌত করো নিংড়াতে হবে।

(৪)
নাপাক কাপড় পরে পুকুরে গোসল করলে তা এমনিতেই পাক হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়ানো শর্ত নয়।

(৫)
অযুতে ওয়াসওয়াসা হলে, আউযু বিল্লাহ পড়তে হবে।

(৬)
কাপরে নাপাকি নিয়ে সন্দেহ হলে নামাজ হবে। কেননা শুধুমাত্র সন্দেহ দ্বারা কোনো জিনিষ নাপাকও হয় না এবং পাকও হয়না। বরং পাক নাপাক সাব্যস্ত করার জন্য পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাসের প্রয়োজন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

(৭)
সতর্কতামূলক কাপড়কে পাক করা উচিৎ।

(৮)
পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়ুন, তাহাজ্জুদের নামায পড়ুন, এবং অন্যন্য নফল নামায পড়ুন,দু'আ মাছুরা সমূহকে যত্নসহকারে পড়ুন। সর্বদা আল্লাহর যিকির করুন।ইনশা'আল্লাহ মন ভালো হয়ে যাবে। বেশী বেশী করে ৯৪ নং সূরা ইনশারাহ পড়ুন।

(৯)
নির্দিষ্ট কোনো দু'আ নাই। তবে আল্লাহর কাছে লম্বা হওয়ার মিনতি করলে অবশ্যই আল্লাহ দু'আ কে কবুল করবেন।

(১০)
নামাজে সুরা ফাতিহা পরতে ভুলে গেলে বা তাশাহুদ পরতে ভুলে গেলে সাহু সিজদা করলে নামাজ হবে।

(১১)
তাকবিরে তাহরিমা বলা তো নামাজের ভিতরে ফরয। কিন্তু  তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় আল্লাহু আকবর বলার জায়গায় যদি ভুলবসত আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ আকবর বলা হয় বা আল্লাহু আকবর বলার সময় যদি 'বা' এর উচ্চারণের সময় ঠোট না মেশে অথবা 'র' এর উচ্চারণের সময় যদি জিহবা একাধিক বার কম্পিত হয়, তাহলে নামাজ হবে।

(১২)
নামাজে সুরা, তাশাহুদ,দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসুরা এবং অন্য সব দোয়া পড়ার সময় যদি মাখরাজ সমুহ সঠিক না হয়, এবং অর্থ বদলে যায়, তাহলে নামায হবে না।কিন্তু যদি অর্থ না বদলে, তাহলে নামায হয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1126


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
আপনি তো প্রথমে ৬ টি প্রশ্ন করেছিলেন। তাই আমরা সেগুলোর জবাব লিখেছিলাম। পরবর্তীতে যে সব প্রশ্ন করেছেন, সেগুলোর জবাব পরে পাবেন।
by (590,550 points)
বাদবাকী প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 161 views
0 votes
1 answer 228 views
...