بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
জিলহজ্ব
মাসের দশ, এগারো ও বারো তারিখ এ তিনদিনে
প্রয়োজন অতিরিক্ত কারো কাছে যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের
সমপরিমাণ মূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।
প্রয়োজন
অতিরিক্ত বলতে বুঝানো হয়েছে, উক্ত তিন দিনের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব এবং এখনি আদায় আবশ্যক
এমন ঋণমুক্ত হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী ঋণ কুরবানী আবশ্যক হবার জন্য বাঁধা হবে না।
ঋণ পরিশোধ
করার পর যদি হাতে ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমমূল্য পরিমাণ সম্পত্তি হাতে না
থাকে, তাহলে তার
উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। (কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩৪)
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً
فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা
(রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে
না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের
নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
কুরবানি
দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব? এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ
الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ
ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর
ওয়াজিব হয়। যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
★কুরবানির নেসাব পৃথক। এবং যাকাতের নেসাব
পৃথক। কুরবানি ওয়াজিব হলেই যে যাকাত দিতে হবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়। বরং যাকাত ওয়াজিব
হলেই কুরবানিও ওয়াজিব হবে। কেননা যাকাতের জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত। কিন্তু কুরবানি
ওয়াজিব হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত নয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
১. আপনার মায়ের কাছে যদি টাকা না থাকে
এবং গহনাও এপরিমাণ না থাকে যা নেসাব পরিমাণ, তাহলে আপনার মায়ের উপর কুরবানী ওয়াজিব
হবে না।
২. সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে ৫২.৫ ভরি রূপা বা তার সমমূল্য পরিমাণ সম্পত্তি হাতে না থাকলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। এবং আপনাদের প্রত্যেকের নেসাব
পৃথক ভাবে হিসাব করতে হবে । একত্রে হিসাব করা যাবে না।
৩.
জ্বী না ঐগুলিতে যাকাত আসবে না। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
فَإِذَا
كَانَتْ سَائِمَةُ الرَّجُلِ نَاقِصَةً مِنْ أَرْبَعِيْنَ شَاةً وَاحِدَةً
فَلَيْسَ فِيْهَا صَدَقَةٌ
‘কারো গৃহপালিত
ছাগলের সংখ্যা চল্লিশ হ’তে একটিও কম হ’লে তার উপর যাকাত নেই’। (বুখারী হা/১৪৫৪, মিশকাত হা/১৭৯৬)
৪. হানাফি মাযহাব মতে মাসের সূচনা চাঁদ
দেখার উপরই নির্ভর করে। তাই প্রত্যেক এলাকায় চাঁদ দেখার পরই সেখানে হিজরী মাস শুরু
হবে। সুতরাং বাংলাদেশের তারিখ
ও সময় অনুপাতে আরাফার রোজ রাখতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/22811/