জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। (সূরা বাকারা-২২৮)
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِي أَنفُسِكُمْ ۚ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَن تَقُولُوا قَوْلًا مَّعْرُوفًا ۚ وَلَا تَعْزِمُوا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ [٢:٢٣٥]
আর যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে সে নারীর বিয়ের পয়গাম দাও, কিংবা নিজেদের মনে গোপন রাখ, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই, আল্লাহ জানেন যে, তোমরা অবশ্যই সে নারীদের কথা উল্লেখ করবে। কিন্তু তাদের সাথে বিয়ে করার গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখো না। অবশ্য শরীয়তের নির্ধারিত প্রথা অনুযায়ী কোন কথা সাব্যস্ত করে নেবে। আর নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্তি পর্যায়ে না যাওয়া অবধি বিয়ে করার কোন ইচ্ছা করো না। আর একথা জেনে রেখো যে, তোমাদের মনে যে কথা রয়েছে, আল্লাহর তা জানা আছে। কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাক। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী ও ধৈর্য্যশীল। {সূরা বাকারা-২৩৪-২৩৫}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক তালাকে বায়েন প্রাপ্তা মহিলাকে যদি তার স্বামী নতুন করে বিবাহ না করে,তাহলে তার ইদ্দত কাল (তালাকের পর তিন হায়েজ) অতিবাহিত হওয়ার পর সেই মহিলা যেকোনো জায়গায় বিবাহ করতে পারবে।
এক্ষেত্রে স্বামী থেকে আরো দুই তালাক নিতে হবেনা,বরং ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়াই যথেষ্ট।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন কাউকে বিবাহ করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।
পূর্বের স্বামী থেকে আরো দুই তালাক নিতে হবেনা।
,
(০২)
এক্ষেত্রে কোনো করনীয় নেই।
ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার আগেও পূর্বের স্বামীকে
বিবাহ করতে পারবে,ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পরেও (অন্যত্রে বিবাহ না বসলে) পূর্বের স্বামীকে বিবাহ করতে পারবে।