আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (30 points)
edited by
২৷আমার জা একটি চাকরি করেন যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম,উনি জন্ম নিয়ত্রণ সম্পর্কিত কাজ করে থাকেন , জন্ম নিয়ত্রণ উৎসাহ,করা এগুলোই উনার কাজে ,স্থায়ীটা কম ,অল্প মেয়াদি বেশি এখন আমাদের জয়েন ফ্যামিলি ,আমার শ্বশুরে পেনশনের টাকা,উনার বেতন যখন আমরা শশ্বরবাড়ি যাই তখন আমার জাওজ বাজার করে  এখন উনাদের সাথে থাকা কি আমাদের জন্য হালাল হবে ??

৩৷সরকারি চাকরীজীবিদের প্রবিডেন ফান্ডে নূন্যতম 5% টাকা রাখতেই হয় যার সাথে সুধ যুক্ত হয় পেনশন কিংবা যে কোনো সময় এই টাকা তুলা যায় , এখন এই টাকার শুধ টা কি হালাল হবে আমাদের জন্য ?? হারাম হলে ঐ শুধের টাকা কি করণীয় ??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

ঋণ পরিশোধের করার পর যদি হাতে ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমমূল্য পরিমাণ সম্পত্তি হাতে না থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩৪)

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির যত টাকা ঋন আছে,এই টাকা বাদ দিয়ে যদি তার হাতে কুরবানীর ৩ দিনের মধ্যে ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমমূল্য পরিমাণ টাকা থাকে,তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে,নতুবা ওয়াজিব হবেনা।   

হ্যাঁ যদি এটি ব্যাংক হতে ব্যাবসায়ীক লোন নেয়া হয়,যাহা কিস্তিতে শোধ করতে হয়,তাহলে কুরবানীর দিন গুলোতে সেই মাসের কিস্তির টাকা ব্যাতিত নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলে কুরবানী ঠিকই ওয়াজিব হবে।    
(০২)
তাদের সাথে থাকা আপনাদের জন্য হালাল হবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
এই টাকার ব্যাপারে শরীয়ত হালাল বলেছেন।
সূদ বলেননি।
তাই সেই টাকা উত্তোলন করে ব্যবহার করা যাবে।  

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...