আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (34 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,শাইখগণ।
আমি একটা এডমিশন টেস্টে কোয়ালিফাই না করার ফলে,অনেক মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।শারীরিক মানসিকভাবে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে যাই। ঐ সময় আমি রাগে গর্জে,বলেছিলাম যে আল্লাহ তো নাই,নাহলে আমার এ অবস্থা কেন? ঠিক কী বাক্য বলেছি মনে নেই,কিন্তু এরকম কোনো কথাই হবে,আল্লাহর ব্যাপারে।আমি মানিনা,আমি বিশ্বাস করিনা,নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এসব বলে যাই।হুবহু বাক্যগুলো মনে না করতে পারার জন্য আফওয়ান হুজুর।

এর পরবর্তীতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার প্রদত্ত হিদায়াতে আমি দ্বীনি বুঝ পেয়ে যাই,পর্দা শুরু করি শরয়ীভাবে,যেই আমার আল্লাহর প্রতি ক্ষোভ প্রচন্ড হয়ে ছিলো,সেই আমি সম্পূর্ণরুপে আল্লাহর দিকেই ফিরে আসি,গুনাহ থেকে বাচার চেষ্টা করি,ছোটখাটো হারাম হালাল ও মেনে চলার চেষ্টারত থাকি।মোট কথা দ্বীনি চেতনা আসে। এরপর আমি নিজেকে হিফাজাত করতে ও আরও নিজেকে পর্দায় নিয়ে যাওয়ার জন্য,পরিবারের মাধ্যমে বিবাহ করি।দেড় বছর হলো বিয়ের। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমি যে এডমিশনের সময় ঐ ধরনের কথা বলেছিলাম,তাতে যদি ঈমান চলে গিয়ে থাকে,আমার বিবাহ কী ঠিক আছে তাহলে? উল্লেখ্য,ঐ এডমিশন এর কয়েক বছর পর আমার বিয়ে হয়েছে,এর মধ্যে আমি অনেক অবনত সুরে বলেছি যে,আমি তখন কেন এভাবে আল্লাহকে নিয়ে কথা বলেছিলাম।আমি অনেক বড় ভুল করেছি। এভাবে অনুতপ্ত হয়েছি নিজে নিজে। কিন্তু কালিমা শাহাদাত বলে নাকি পুনরায় ঈমান আনতে হয়,এ সম্পর্কে আমার কোনো ইলম ছিল না।জানা না থাকায় আমি এভাবে কালিমা পড়িনি। এখন আমি কী করবো? খুব হতাশায় রয়েছি আমি।অনেক আমল করেছি,আল্লাহকে ডেকেছি কয়েক বছর।কিন্তু বিশেষভাবে কালিমা শাহাদাত বলে ঈমান আবার আনতে হয় বা এমন কিছু...এগুলো তো আমার জানা ছিলো না।এখন তো বিয়ের দেড় বছর চলছে।আমার জাওয কী তাহলে একজন কাফির নারীকে বিয়ে করেছেন? আমি কী করবো শাইখ!!!!এতদিন পর এসে আমার এটা মনে হচ্ছে!

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/8737/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে গিয়েছে।   
 প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে
,
অন্যত্রে এসেছে
"رجل كفر بلسانه طائعا، وقلبه مطمئن بالإيمان يكون كافرا ولا يكون عند الله مؤمنا كذا في فتاوى قاضي خان."
(كتاب السير، الباب التاسع في أحكام المرتدين، مطلب في موجبات الكفر أنواع منها ما يتعلق بالإيمان والإسلام، ج: 2، صفحہ: 283، ط: دارالفکر)
সারমর্মঃ  কেহ যদি যবান দ্বারা (জবরদস্তি ছাড়াই) কুফরী বলে,এবং তার কলব ঈমানের উপর অটল থাকে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে যাহা যাহা উল্লেখ রয়েছে, আপনি যদি নিশ্চিত ভাবে এই কথা গুলি বলে থাকেন,তাহলে তখন আপনি কাফের হয়ে গিয়েছিলেন।   

পরবর্তীতে আপনি যখন দ্বীনের বুঝ পেয়ে দ্বীনের পথে ফিরে এসেছিলেন,তখন তো যবান দিয়ে নিশ্চিত ভাবে ""আল্লাহ এক,রাসুল সাঃ আল্লাহর রাসুল""   
এ কথা বা এর আরবী যেকোনো প্রেক্ষিতে বলেছিলেন।

সুতরাং আপনার ঈমান আনা আগেই হয়েছে, আপনার যাওজ মুসলিমকেই বিবাহ করেছেন,আপনাকে আর ঈমান আনতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...