আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর ,

আমার প্রশ্ন হল আমি আমার স্ত্রীকে রাগের বসত দুইবার তালাক বলেছিলাম এবং তারপরে আবার বলি যা তালাক চাইছিস দিয়ে দিলামতো এখন যেতে চাইছিস চলে যা বারবার আর বলতে হবে না। এটা বলার পরেও আমি যেটা মনে করে রেখেছি যে আমি তো দুইবার তালাক বলেছি আর তৃতীয়বার বলিনি তো এখন এটা কি তালাক হিসাবে গণ্য হবে আরও একটি বিষয় আমি বিভিন্ন সময় আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলত তখন রেগে গিয়ে তাকে বলা হতো ঠিক আছে আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম তুমি তোমার মত যেখানে চলে যেতে চাও চলে যাও, আমি তোমাকে আজকে থেকে আর কিছু বলব না, তোমার যা ভাললাগে তুমি তাই করো। এরকম বিষয়ে অনেক বলা হয়েছে এবং এরকম হয়েছে ডিভোর্স লেটার কথা বলছিস আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আমার সাথে এত ঝগড়াঝাটি কিছু নাই আমাকে পেপার সাইন করে দিয়ে চলে যাও,আবার আমাদের ডিভোর্স লেটার আমি ব্যবস্থা করতেছি তোমার মত তুমি যেখানে যাবা যাও। তবে ডিভোর্স লেটার  মাঝেমধ্যে ভয় দেখানোর জন্য বলেছি এবং অনেক সময় রাগ দেখিও বলেছি তার ব্যবহারে খুবই কষ্ট পেয়ে। এখন এই সকল বলার ভিতরে কি আমার তালাক হয়ে যাওয়া বা হয়ে গেছে এরকম কিছু আছে কি আমি মানসিকভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগছে তাই আপনার কাছে অনুরোধ সকল বিষয়গুলো অনুধাবন করে আমাকে একটু জানাবেন ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম এক তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে। 

হাদীস শরীফে এসেছে   

عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: أبغض الحلال إلی اللّٰہ عزوجل الطلاق۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۰۳، المستدرک للحاکم ۲؍۲۱۸ رقم: ۲۸۰۹، السنن الکبریٰ ۷؍۳۱۶)

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হালাল হলো তালাক প্রদান করা।

'তোমাকে ছেড়ে দিলাম' ‘তোমাকে মুক্ত করে দিলাম’ বা ‘স্বাধীন করে দিলাম’ শব্দগুলো প্রচলনে সারীহ বা স্পষ্ট তালাকের স্থলে ব্যবহার হয়ে থাকে। 
আর সারীহ তালাকের ক্ষেত্রে নিয়তের প্রয়োজন হয় না। বরং যদি কেউ স্ত্রীকে কেবল ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেও এজাতীয় কথা বলে তাহলেও এর দ্বারা তালাক হয়ে যায়। (জামিউল ফাতাওয়া ১০/১২০ কিতাবুন নাওয়াযিল ৯/২৯৩, ২৯৬, ২৯৯, ৩০০)

★সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে,ছেড়ে দিলাম। তাহলে তালাক পতিত হবে। ছেড়ে দিলাম শব্দটি যদিও কেনায়া কিন্তু ব্যাপক প্রচলনের কারণে এটা সরিহ তালাকের স্থলাভিষিক্ত হয়ে গেছে।তাই নিয়ত ব্যতীত তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যে বিভিন্ন সময়ে আপনার স্ত্রীকে ছেড়ে দিলাম বলেছেন,আর এখানে স্পষ্ট বাক্যে  দুই তালাক দিয়েছেন,সুতরাং এখানে সবকিছু বিবেচনা দ্বারা বুঝা যায় যে আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে আপনার স্ত্রী আপনার জন্য সম্পূর্ণভাবে হারাম হয়ে গিয়েছে। 
,
তাকে আবারো বিবাহ করতে চাইলে শরয়ী হালালাহ করতে হবে।
নতুবা তাকে বিবাহ করা যাবেনা।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম , ধন্যবাদ উত্তর প্রদানের জন্য ।আমার যে প্রশ্ন ছিল সেইখানে এক্টা জিনিস বলা হয় নাই সেইটা হইল যে দিন মুখে আমি তালাক উচ্চারণ করি সেই দিন অনার পিরিওড চলতেছিল। এখন তালাক কি সেই দিনের বলার উপরে হয়েছিল আর মাসিক থাকা অবস্থায় কি তালাক হয় নাকি । নাকি অন্য দিনে যে সব বলেছি এর কারনেও হইতে পারে । ধন্যবাদ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...