আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম উস্তাদ!
এক মহিলার ননদাই তার ভাসুরের বাড়িতে আসবাবপত্র দিতে আসে। এরই সুবাদে তার বাড়িতে দেখা করতে যায়(তার ভাসুর, শাশুড়ি ঘর আলাদা)। কিন্তু ঘরের দরজা লক থাকায় সে বাইরে চলে যায় পরে ওই মহিলাটি নিজে তার ঘরে আসার জন্য ডাক দেয় তার ননদাইকে।যেহেতু দূর আত্মীয় আর অনেকদিন পর এসেছে, আত্মীয়তার ছিন্ন হওয়ার ভয়ে। মহিলাটি মুখ ঢেকে পর্দা করে। সমস্যা হলো সেসময় তার স্বামী ঘরে উপস্থিত ছিলেন না। তার ঘরে ১২ বছরের একটা মেয়ে রয়েছে আর দুটি ছোট্ট মেয়ে আছে। তবে তারা আলাদা ঘরে অবস্থান করে। এখন তার ননদাই দ্বীন সম্পর্কে কিছু জানেনা, অত্যধিক গল্প, ঠাট্টা করে। তার সাথে কথা না বললে সে মনঃক্ষুণ্ণ হয়। তবে মহিলাটা জানে যে স্বামীর অনুপস্থিততে পরপুরুষকে ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিতে নেই। কিন্তু সে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। কিন্তু তাার ননদাই ঘরে প্রবেশ করেনি বারান্দায় দাড়িয়ে কথা বলছিলো।
পরিবারের লোক পর্দা করাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের চোখে দেখে।

। এখানে সে জানতে চেয়েছে তার ননদাইকে ঘরে ডাকাটা কী গুনাহ হয়েছে?
তার ননদাইকে যদি তার ঘরে প্রবেশের অনুমতি না দিতো তখন কী তার গুনাহ হতো? বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারী বলে গণ্য হতো?
আর যদি পরবর্তীতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তবে সে কী পদক্ষেপ নেবে?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّهُ سَمِعَ النبيَّ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ، وَلاَ تُسَافِرُ المَرْأةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ».

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা নারীর সঙ্গে তার সাথে এগানা পুরুষ ছাড়া অবশ্যই নির্জনতা অবলম্বন না করে। আর মাহরাম ব্যতিরেকে কোন নারী যেন সফর না করে।’’
(সহীহুল বুখারী ৩০০৬, ১৮৬২, ৩০৬১, ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১, ইবনু মাজাহ ২৯০০, আহমাদ ১৯৩৫, ৩২২১)

عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثُهُمَا الشَّيْطَانُ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো পুরুষ অপর (মাহরাম তথা বিবাহ বৈধ এমন) নারীর সাথে নিঃসঙ্গে দেখা হলেই শায়ত্বন সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয়।
(তিরমিযী ১১৭১, ২১৬৫।.মিশকাত ৩১১৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু ঐ মহিলার ননদাই ঘরে প্রবেশ করেনি বারান্দায় দাড়িয়ে কথা বলছিলো।
আর ঐ মহিলা পর্দার আড়ালে ছিলো,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গুনাহ হবেনা।

তবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলার গুনাহ হবে।
,
এক্ষেত্রে করনীয় হলো,
ঘরে অন্য কেউ উপস্থিত থাকা অবস্থায় তাকে ডাক দেয়া।
এভাবে নির্জন কক্ষে তাকে ডাক দেয়া গুনাহ।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...