আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (62 points)
আমার ফ্যামিলি খুব ক্যারিয়ারিস্টিক। আমি একজন চিকিৎসক,  সরকারি কর্মকর্তা। আমার ফ্যামিলি চায় আমি চাকরি কন্টিনিউ করি। আমার বিয়ে হয়েছে ৪ বছর। এই চার বছরে চাকরির কারনে আমি আমার স্বামীর সাথে খুব একটা থাকতে পারিনি একসাথে। প্লাস আমার শশুরবাড়ি জয়েন্ট ফ্যামিলি, দেবর ভাসুর সব একসাথে থাকে। ওখানে টানা থাকলে আমার পর্দার ও অসুবিধা হয়। কিন্তু আমার কখনোই চাকরি করতে ইচ্ছা হয়নি। আমার খুব ইচ্ছা করে নিজের মত একটা সংসার করতে স্বামী সন্তান নিয়ে। চাকরি ছাড়ার কথা বললে আম্মু খুব রাগ করে, অসন্তুষ্ট হয় আমার উপর। তাদের কথা হল চাকরি ছাড়ার পর যদি হাজব্যান্ড মারা যায় বা হাজব্যান্ড কোন কারনে অযত্ন করে তাহলে আমার কি হবে?  আমার বাচ্চাটার কি হবে? ওদিকে আমার হাজব্যান্ড ও যে খুব ভাল তা না। দায়িত্বশীল না, কেয়ারিং না। আমার সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল করে না।এই বিষয় গুলো আমার ফ্যামিলির লোকজন নোটিশ করেছে ও এরকম তাই বলে যে হাজব্যান্ড এখনই যত্ন করে না,  চাকরি ছাড়লে তো আরো সমস্যা হবে আমার।
( ওপেন ফিল্ডে নিজের মা বাবা স্বামীর সমালোচনা করার জন্য দুঃখিত কিন্তু মাসআলা জানতে না বলেও পারছিনা)
সব সমস্যার পরেও আমার চাকরি কর‍তে একদম ইচ্ছা করে না।মন চায় আমার খারাপ হাজব্যান্ডটাকে নিয়েই সংসার করি।বাচ্চার তরবিয়ত করি। হযরত ফাতিমা রদিয়াল্লাহু আনহার মত একটা সংসার করি। আমার খুব তাকে কাছে পেতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু জয়েন্ট ফ্যামিলি শশুরবাড়ি, সেই সুযোগ খুব কম হয়।
আমি আর পারছিনা। ফ্যামিলিও আমাকে বুঝছেনা, আমিও হাজব্যান্ড এর কাছে টানা থাকতে পারছিনা,  হাজব্যান্ড ও আমাকে সংসারে থাকার ভাল ব্যবস্থা দিতে পারছেনা।
সব মিলায়ে আমি খুব ডিপ্রেসড থাকছি। আর বিয়ের পর বিবাহিত মেয়ে বাবার বাড়িতে অনেকদিন থাকলে বাবা মা র সাথেও গন্ডগোল লাগে। আমারও লেগেছে। আমি কাউকেই খুশি করতে পারছিনা৷ না নিজেকে,  না বাবা মা কে না স্বামীকে।
আমি এখন কি করব?  কিভাবে আল্লাহর কাছে কি চাইব?  আমার জন্য একটু দুয়া করবেন প্লিজ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথম কথা হল, বিয়ের পর স্বামীর উপর ওয়াজিব যে, সে আপনার নফকাহ সুকনাহ দিবে।আপনার পর্দাপুশিদা রক্ষা হয়, এমন বাসস্থানের ব্যবস্থা সে করবে।

দ্বিতীয় কথা হল,চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে যদি আপনার পর্দাপুশিদা লঙ্গণ না হয়, তাহলে ঐ চাকুরী ছেড়ে দেবার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।আপনি চাকুরী করতে পারবেন।

আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে,
١٨٧٥ - «عن عائشة أن بعض أزواج النبي - صلى الله عليه وسلم - قلن للنبي - صلى الله عليه وسلم -: أينا أسرع بك لحوقا؟ قال: "أطولكن يدا "، فأخذوا قصبة يذرعونها، وكانت سودة أطولهن يدا، فعلمنا بعد أنما كان طول يدها الصدقة، وكانت أسرعنا لحوقا به زينب، وكانت تحب الصدقة» . رواه البخاري. وفي رواية مسلم، قالت: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: " «أسرعكن لحوقا بيأطولكن يدا ". قالت: وكانت يتطاولن أيتهن أطول يدا؟ قالت: فكانت أطولنا يدا زينب ; لأنها كانت تعمل بيدها وتتصدق» .
ভাবার্থ
কোন এক সহধর্মিনী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেনঃআপনার মৃত্যুর পর আমাদের মধ্য হতে সবার পূর্বে কে আপনার সাথে মিলিত হবে? তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যার হাত সবচেয়ে লম্বা। তাঁরা একটি বাঁশের কাঠির মাধ্যমে হাত মেপে দেখতে লাগলেন। সওদার হাত সকলের হাতের চেয়ে লম্বা বলে প্রমাণিত হল। পরে [সবার আগে যায়নাব (রাঃ)-এর মৃত্যু হলে] আমরা বুঝলাম হাতের দীর্ঘতার অর্থ দানশীলতা। তিনি [যায়নাব (রাঃ)] আমাদের মধ্যে সবার আগে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) সাথে মিলিত হন এবং তিনি দান করতে ভালবাসতেন।(সহীহ বোখারী-১৪২০)মিশকাত-১৮৭৫

মোল্লা আলী কারী রাহ মিরকাত কিতাবের১৮৭৫ নং হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
 (تحب الصدقة) أي: إعطاءها، وكانت لها صناعة واكتساب معيشة باليد وهذا معنى آخر لليد، فأطولكن يدا بمعنى أفضلكن يدا؛ حيث إنها تأكل من كسب يدها وتتصدق بيدها من كد يدها
যায়নাব রাযি দান করতে ভালবাসতেন।যায়নাব রাযির পেশা ও উপার্জন ছিল,যায়নাব রাযি নিজ হাতের উপার্জন হতে খেতেন,এবং সদকাহ করতেন।

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/524

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি চাকুরী করবেন, আপনার স্বামীকে বলবেন, আপনাকে নফকাহ এবং সুকনাহ(খোরাকি ও বাসস্থান) দিতে। যদি সে না দেয়, তাহলে আপনি প্রয়োজনে কোর্টে মামলাও করতে পারেন।আপনার স্বামীকে বলবেন, পৃথক বাসা নেয়ার জন্য, প্রয়োজনে অর্ধেক বাড়ার আপনি নিজেও দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...