বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছে,
‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ঋনের বোঝা তো আপনার বাবার উপর রয়েছে।
আপনার মায়ের উপর তো সেই বোঝা নেই,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার মায়ের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
হ্যাঁ তিনি যদি কুরবানীর দিন আসার আগেই সেই টাকা থেকে আপনার বাবার ঋন শোধ করা শুরু করে দেয়,বা ঘর বানানোর কাজে টাকা ব্যায় করে,বা আপনার বিয়ের জন্য আপনার মালিকানায় কিছু টাকা দিয়ে দেয়,আর এতে নেসাব পরিমান (সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপা সমপরিমাণ মূল্য) সম্পদ আপনার মায়ের মালিকানায় আর বাকি না থাকলে সেক্ষেত্রে আর আপনার মায়ের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।