আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (3 points)
edited by
মুহতারাম, আমরা তিন বোন। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। আমার আব্বুর আড়াই লাখ টাকা ঋণ আছে। আমার আব্বুর আয় খুবই স্বল্প যা পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য যথেষ্ট নয়। আমি একজন বিবাহযোগ্য মেয়ে।  আমার আম্মু একজন গৃহিণী। আমার ছোট বোন একজন তালিবে আলম।  এমতাবস্থায় আমি প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু টাকা উপার্জন করি যা আম্মুর কাছে রাখি। এই টাকার মালিকানা আমি আম্মুকে দিয়ে দেই। আম্মু তা থেকে কিছু ব্যয় করে আবার কিছু জমিয়ে রাখে। আম্মুর কাছে বর্তমানে ৭৪ হাজার টাকা আছে। আর ব্যবহৃত স্বর্ণ আছে ১ ভরি।

 আমাদের নিজস্ব কোন জমি কিংবা ঘর নেই। আমার দাদা জীবিত আছেন। সম্পত্তি বন্টন না করলেও মুখে মুখে বলেছেন অমুক জায়গা অমুকের। বর্তমানে তিনি ঘর বানানোর অনুমতি দিয়েছেন। টাকা জমানোর ক্ষেত্রে আম্মুর নিয়ত আব্বুর ঋণ পরিশোধ বা আমার বিয়ে বা থাকার জন্য ঘর তৈরি।
উল্লেখ্য আমার আব্বুর বর্তমানে ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নেই।
উল্লেখিত পরিস্থিতিতে আম্মুর উপর যাকাত ও কোরবানী ওয়াজিব হয়েছে কি?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছে, 
‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ঋনের বোঝা তো আপনার বাবার উপর রয়েছে।
আপনার মায়ের উপর তো সেই বোঝা নেই,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার মায়ের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।

হ্যাঁ তিনি যদি কুরবানীর দিন আসার আগেই সেই টাকা থেকে আপনার বাবার ঋন শোধ করা শুরু করে দেয়,বা ঘর বানানোর কাজে টাকা ব্যায় করে,বা আপনার বিয়ের জন্য আপনার মালিকানায় কিছু টাকা দিয়ে দেয়,আর এতে নেসাব পরিমান (সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপা সমপরিমাণ মূল্য)  সম্পদ আপনার মায়ের মালিকানায় আর বাকি না থাকলে সেক্ষেত্রে আর আপনার মায়ের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...