জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে উল্লেখিত ২টি হাদীস হলোঃ-
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ فِي الإِيلاَءِ الَّذِي سَمّٰى اللهُ لاَ يَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدَ الأَجَلِ إِلاَّ أَنْ يُمْسِكَ بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يَعْزِمَ بِالطَّلاَقِ كَمَا أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ.
নাফি' (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যে ‘ঈলার কথা আল্লাহ উল্লেখ করেছেন সে সম্পর্কে বলতেন, সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যেকেরই উচিত হয় স্ত্রীকে সততার সাথে গ্রহণ করবে, না হয় ত্বলাক্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবে, যেমনভাবে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন।(বুখারী শরীফ ৫২৯০.আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)
و قَالَ لِي إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ إِذَا مَضَتْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ يُوقَفُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَلاَ يَقَعُ عَلَيْهِ الطَّلاَقُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَيُذْكَرُ ذ‘لِكَ عَنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعَائِشَةَ وَاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইসমাঈল আমাকে আরও বলেছেন, মালিক (রহঃ) নাফি' এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে ত্বলাক্ব দেয়া পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হবে। আর ত্বলাক্ব না দেয়া পর্যন্ত ত্বলাক্ব প্রযোজ্য হবেনা। উসমান, ‘আলী, আবুদ্ দারদা, 'আয়িশা (রাঃ) এবং আরও বারজন সহাবী থেকেও অনুরূপ উল্লেখ করা হয়।
(বুখারী শরীফ ৫২৯১.আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বীন,
এই হাদীস গুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে যে ঈলা করার পর চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাতে তালাক না দিলে তালাক হয়না।
কিন্তু হানাফি মাযহাব এর ফতোয়া কুরআনের আয়াতের উপর ভিত্তিই করে দেওয়া হয়েছে যে চার মাস অতিবাহিত হওয়ার মধ্যে সহবাস না করলে চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর পরই তালাক পতিত হবে।
হানাফি মাযহাব অনুসারীদের এর উপরেই আমল করতে হবে,ভিন্ন মত মানা নফসের অনুকরণ এর অন্তর্ভুক্ত হবে,বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾
যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)
ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ-
: اختلف العلماء في حكم الإيلاء من الزوجة على مذهبين: الأول: إذا مضت الأربعة الأشهر قبل أن يفئ الزوج، طلقت منه زوجته تطليقة بائنة، فلا تحل له إلا بعقد جديد. وهذا مذهب أبي حنيفة. وحجته أن الله تعالى حدّد المدة للفيء بأربعة أشهر، فإذا لم يرجع الزوج عن يمينه في هذه المدة، فكأنه أراد طلاقها، والعزيمة في الحقيقة إنما هي عقد القلب على الشيء. الثاني: أن الزوجة لا تطلق بمضي مدة الأربعة الأشهر، ويؤمر الزوج بالفيئة (الرجوع عن يمينه)، أو بالطلاق، فإذا امتنع الزوج منهما طلقها الحاكم عليه. ويكون تطليقة رجعية. وهذا مذهب جمهور العلماء، وحجتهم أن قوله تعالى: {وإن عزموا الطلاق} صريح في أن وقوع الطلاق إنما يكون بإيقاع الزوج، فلا يكفي مضي المدة، بل لا بد بعدها من الرجوع عما حلف عليه، أو الطلاق
সারমর্মঃ
ঈলার সময় সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর তালাক পতিত হওয়া নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন,
চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর নিকট গমন না করলে চার মাস অতিবাহিত হলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
তার দলিল হলোঃ
উপরোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা স্ত্রীর নিকট প্রত্যাবর্তন এর সময় সীমা বলেছেন চার মাস।
সুতরাং স্বামী যখন এই নির্ধারিত সময়ে স্ত্রী নিকট গমন না করে কসমে ফিরে না আসে, তখন স্পষ্ট প্রকাশ পায় যে সে আর উক্ত স্ত্রীকে রাখবেনা,তালাকের ইচ্ছা পোষন সে করেছে,এই জন্যই তো সে যায়নি।
তাই এতে তালাক হবে,,,,,।