বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ঘরের নামাযের সওয়াব এবং মসজিদের নামাযের সওয়াব কখনো সমান হবে না। উক্ত কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।হয়তো কুকুরকে জলাতঙ্কের ইনজেকশন প্রদান করুন নতুবা পড়া প্রতিবেশীকে সাথে নিয়ে এগুলোকে দমানোর চেষ্টা করুন কিংবা হত্যা করুন- কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাড়ীতে নামায আদায় করতে পারবেন।রুখসত থাকবে। কুকুর হত্যা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীসঃ-
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺃﻣَﺮَﻧﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑِﻘَﺘْﻞِ ﺍﻟﻜِﻼﺏِ ، ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻤَﺮْﺃﺓَ ﺗَﻘْﺪُﻡُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺒَﺎﺩِﻳَﺔِ ﺑِﻜَﻠْﺒِﻬَﺎ ﻓَﻨَﻘْﺘُﻠُﻪُ ، ﺛُﻢَّ ﻧَﻬَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋَﻦْ ﻗَﺘْﻠِﻬَﺎ ، ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺑِﺎﻷﺳْﻮَﺩِ ﺍﻟﺒَﻬِﻴﻢِ ﺫِﻱ ﺍﻟﻨُّﻘْﻄَﺘَﻴْﻦِ ﻓَﺈﻧَّﻪُ ﺷَﻴْﻄَﺎﻥٌ
রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাদের কুকুর নিধনের আদেশ দিয়েছিলেন।তখন গ্রাম থেকেও কোনো মহিলা কুকুর নিয়ে আসলে সেটাকেও আমরা হত্যা করে ফেলতাম।অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাদেরকে ব্যাপকহারে কুকুর নিধন থেকে নিষেধ করে আমাদেরকে বললেন,তোমরা নিখুঁত কালো ও চাঁন কপালি কুকুর দেখে হত্যা করো, কেননা এটা শয়তান। (সহীহ মুসলিম-১৫৭২)
বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংক দ্রষ্টব্য।
(০২)
এই প্রানী গুলোর শরীরে নাপাকি লেগে না থাকলে এগুলোর শরীরকে নাপাক বলা যাবেনা।
তবে এগুলোর বিষ্ঠা নাপাক।
শুকনো বিষ্ঠা হলে সেটি দূর করলেই পাক হয়ে যাবে।
(০৩)
নাপাকির দূর্গন্ধ আসলে সেটিকে পাক করতে হবে।
নাপাকির গন্ধ/চিন্হ পাওয়া না গেলে সেটি না ধুয়েও ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে ধোয়াই সতর্কতা।
(০৪)
না,গুনাহ হবেনা।
(০৫)
আপনি সেটি দেখার পর পরিস্কার করবেন।
দেখার পরেও বিষ্ঠা লেগে থাকা কাপড় কুরআন শরীফের উপর রাখা যাবেনা।
রাখলে গুনাহ হবে।
আর দেখা মাত্র সেই কাপড় সড়িয়ে নিলে গুনাহ হবেনা।
(০৬)
নাপাকি সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি নিজেকে,নিজের শরীরকে,নিজের কাপড়কে নাপাক বলবেননা।