আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in পবিত্রতা (Purity) by (56 points)
edited by

১.আমি প্রায় ৩ মাসের গর্ভবতী আমাকের ডাক্তার বলছে পেটের বাচ্চার হার্টবিট এখন ও আসেনি ৩ বার আলট্রা করানো হয়েছে।ডাক্তার বলছে বাচ্চা মিসকেরেজ হয় যাবে টিকবে না।তাই বলছে ঔষধ খাওয়া বন্ধ করতে।আরো বলছে বন্ধ করলে যেকোনো সময় রক্তপাত শুরু হয়ে যেতে পারে। আমি বন্ধ করেছি ঔষধ খাওয়া।ঐঔষধ ডাক্তার এজন্য দিছিলো যাতে বাচ্চা নষ্ট না হয় এখন যহেতু বাচ্চা টিকবে না তাই ওটা খেলে সমস্যা হবে এজন্য ঔষধ খাওয়া বন্ধ করতে হয়েছে।১ দিন ধরে ঐ ঔষধটা খাওয়া বন্ধ করেছি।এখন অল্প রক্ত দেখতে পাচ্ছি।এখন এটা কি হায়েজের রক্ত ধরবো নামাজ পড়ব কি??বাচ্চা এখনো পড়েনি এখন বাচ্চা গর্ভপাত হওয়ার পর কি হায়েজ ধরবো নাকি এখন থেকেই এটাকে হায়েজ ধরবো?? আর বাচ্চা গর্ভপাত হওয়ার পরেও বেশ কিছু দিন রক্তপাত হয়।আগেও একবার আমার এমন হয়েছে।

কোনো স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়েছে।এরপর একদিন তার কাছে অন্য একজন মহিলা জিজ্ঞেস করে যে মহিলারা যে ডিভোর্স দেয় এতে কি তালাক হয়।তখন সেই স্ত্রী উত্তরে অনেকটা এরকম বলে যে যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয় তাহলে সে নিজের উপর তালাক নিতে পারবে।অর্থাৎ সে স্ত্রী অন্য স্বামী স্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দেয়া শুরু করে কিন্তু মনে মনে ভাবে যে নিজের উপর তালাক নিলাম এটা বললে নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে। তাই সে ঐ কথাটা বলতে চায়না তবুও সে ঐ ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কথা বলতে বলতে শেষে বলে ফেলে আমি নিজের উপর তালাক নিলাম ।এখন তার সন্দেহ লাগছে যে সে যখন এই কথাটা(আমি নিজের উপর তা** নিলাম) বলেছিলো তখন এটা বলার আগে সে এরকম বলে নিয়েছিলো কিনা সেই স্ত্রী(এখানে উদাহরণের স্ত্রী) বলবে বা তাকে বলতে হবে যে আমি নিজের উপর তালা** নিলাম।সে তখন একটু বেখেয়ালে ছিলো।তাই মনে করতে পারছে না।

২.উপরের বিবরণ মতে স্ত্রীর নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে??

৩.অন্য মহিলার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় কথা বলতে বলতে শেষের দিকে ঐ কথা(আমি নিজের উপর তালা** নিলাম)বলার কারণে আর মন মনে  উক্ত তালাকের কথা স্মরণ করার কারণে কি স্ত্রীর নিজের উপর তালাক পতিত হবে??

৪.উক্ত স্ত্রী অন্যের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় শেষের দিকে ঐ কথাটা(আমি নিজের উপর তালা** নিলাম) কথাটা সময় যদি নিজের উপর তালাক নেওয়ার কথা ভেবে ফেলে তাহলে কি নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে??

৫.কোন মহিলা তালাকের অধিকার পাওয়ার পর তালাকের নিয়তে যদি বলে আমি তো স্বাধীন তাহলে এ কার কারণে ঐ মহিলার নিজের উপর তালাক পতিত নেওয়া হয়ে যাবে?? তালাক হবে?

৬.ধরুন এমন মহিলা যে তালাকের অধিকার পেয়েছে তার কোনো কেনায়া শব্দ বললে বা শুনলে তালাকের নিয়তের কথা স্মরণ হয়। সে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ও কোনো শব্দ বললে যেমনঃ আমি শেষ, আমি স্বাধীন ইত্যাদি বলার ক্ষেত্রেও তার তালাকের নিয়তের কথা স্মরণ হয়। এরকম ব্যক্তি ঐ সমস্ত শব্দ বলার সময় তালাকের নিয়ত আসলে কি তার নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ

নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "

আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, “এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে”।
(সুনানে দারা কুতনি ৭৯৮)


(০১)
https://ifatwa.info/1570/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু ৩ মাসের গর্ভবতী,এখন যে রক্ত আসছে,এটি যদি তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন ধরে বের হয়,তাহলে এটকে হায়েজ ধরে নামাজ আদায় করবেননা।
,
যদি তিন দিনের কম হয়,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করতে হবে। 

যদি দশদিনের বেশি হয়,তাহলে ১১ তম দিন থেকে নামাজ আদায় করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা যদি নিশ্চিত হয়,যে সে নিজেকে তালাক দেওয়ার ইচ্ছায় নিজের দিকে ইঙ্গিত করেই উপরোক্ত কথা বলেছে,তাহলে তালাক হবে।

আর যদি নিজের দিকে ইঙ্গিত করে না বলে,বা সন্দেহে পড়ে যায়,তাহলে তালাক হবেনা।

(০৩)
না,তালাক হবেনা।

(০৪)
না,তালাক হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
edited by
এখনোতো পূর্ন গর্ভপাত হয়নি।কেবল রক্তপাত শুরু হয়েছে।তাহলে এ রক্তকে কি হায়েজ ধরবো??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 246 views
...