জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ
নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "
আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, “এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে”।
(সুনানে দারা কুতনি ৭৯৮)
(০১)
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু ৩ মাসের গর্ভবতী,এখন যে রক্ত আসছে,এটি যদি তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন ধরে বের হয়,তাহলে এটকে হায়েজ ধরে নামাজ আদায় করবেননা।
,
যদি তিন দিনের কম হয়,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করতে হবে।
যদি দশদিনের বেশি হয়,তাহলে ১১ তম দিন থেকে নামাজ আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা যদি নিশ্চিত হয়,যে সে নিজেকে তালাক দেওয়ার ইচ্ছায় নিজের দিকে ইঙ্গিত করেই উপরোক্ত কথা বলেছে,তাহলে তালাক হবে।
আর যদি নিজের দিকে ইঙ্গিত করে না বলে,বা সন্দেহে পড়ে যায়,তাহলে তালাক হবেনা।
(০৩)
না,তালাক হবেনা।
(০৪)
না,তালাক হবেনা।
(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।
(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।