বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দু'আতে বিশ্ব নবীর উসিলা গ্রহণ করলে এবং নিজ নেক আ'মল সমূহের উসিলা গ্রহণ করা যায়, এবং এগুলো দ্বারাই দু'আ বেশী কবুল হয়ে থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1956
(২)
বিছানায় বীর্য লাগার পর শুকিয়ে গরলে সেই বিছানায় শোয়া এবং সেখানে বসে কোরআন পড়া যাবে।যদিও কুরআন তিলাওয়াতের জন্য পবিত্রতম স্থান উত্তম। তবে নামাজ পড়া যাবে না।কেননা নামাযের জন্য জায়গা পাক হওয়া শর্ত।
(৩)
https://www.ifatwa.info/165 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হারাম সংমিশ্রণের সন্দেহপূর্ণ জিনিষের বিধান কি? উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,
যদি হারাম বস্তু মিশ্রিত করা হল কি না?
এ ব্যাপারে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকে।তাহলে উক্ত পারফিউম/বডি স্প্রে ব্যবহারে ও কোন সমস্যা হবে না।
কেননা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃপূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।
(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য)
আরো ও বর্ণিত রয়েছে......
ﻓﻲ ﺍﻟﺘﺘﺎﺭﺧﺎﻧﻴﺔ : ﻣﻦ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺇﻧﺎﺋﻪ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺛﻮﺑﻪ ﺃﻭ ﺑﺪﻥ ﺃﺻﺎﺑﺘﻪ ﻧﺠﺎﺳﺔ ﺃﻭ ﻻ ﻓﻬﻮ ﻃﺎﻫﺮ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﺴﺘﻴﻘﻦ، ﻭﻛﺬﺍ ﺍﻵﺑﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﻴﺎﺽ ﻭﺍﻟﺠﺒﺎﺏ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﺮﻗﺎﺕ ﻭﻳﺴﺘﻘﻲ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻟﺼﻐﺎﺭ ﻭﺍﻟﻜﺒﺎﺭ ﻭﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻮﻥ ﻭﺍﻟﻜﻔﺎﺭ؛ ﻭﻛﺬﺍ ﻣﺎ ﻳﺘﺨﺬﻩ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺸﺮﻙ ﺃﻭ ﺍﻟﺠﻬﻠﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻛﺎﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺨﺒﺰ ﻭﺍﻷﻃﻌﻤﺔ ﻭﺍﻟﺜﻴﺎﺏ ﺍﻫـ ﻣﻠﺨﺼﺎ .
( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﻗﺒﻴﻞ ﻣﻄﻠﺐ ﻓﻰ ﺍﺑﺤﺎﺙ ﺍﻟﻐﺴﻞ - 1/283 ،
ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭﺧﺎﻧﻴﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﻧﻮﻉ ﺁﺧﺮ ﻓﻰ ﻣﺴﺎﺋﻞ ﺍﻟﺸﻚ - 1/146 ،
তাতারখানিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,যে ব্যক্তি সন্দেহ পোষন করল যে,তার পাত্র বা কাপড় অথবা শরীরে নাজাসত লেগেছে কি না?
যতক্ষণ না অপ্রবিত্রের দূঢ় বিশ্বাস জন্মিবে তথক্ষণ পর্যন্ত তা পাক ও পবিত্র থাকবে।
ঠিকতেমনিভাবে কুঁপ,হাউজ ও ঝিলের বিধান।
যা বিভিন্ন রাস্তার পাশে পাওয়া যায়।
এবং যা থেকে ছোট-বড় মুসলিম-কাফির সবাই পান করে থাকে।ঠিকতেমনি মুশরিক বা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলিমদের তৈরীকৃত খাবার যেমন ঘী,রুটি ও তাদের তৈরী পোশাকের বিষয়ে ও একি বিধান।
(অর্থ্যাৎ হারাম হওয়ার বিশ্বাস জন্মানোর পূর্ব পর্যন্ত তা জায়েয ও বৈধ)।
রদ্দুল মুহতার-১/২৮৩
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/১৪৬
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/165
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হারাম প্রমাণিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো পারফিউম ব্যবহার করা বৈধ।
(৪)
সুন্নতের কাযা করাও সুন্নত। সুতরাং সুন্নতে মু'আক্কাদা নামাযের কাযা না করলে, ফরযের মত গোনাহ না হলেও কিছুটা তো অবশ্যই হবে।
(৫)
কাচা রসুন ভেলে মুখে দুর্গন্ধ থাকে, যদ্দরুণ ফিরিস্তা কাছে আসেননা। তাই রসুন খেয়ে নামায পড়া মাকরুহ।
(৬)
যতক্ষণ পর্যন্ত এই পড়ে থাকা কাপড়ে কোনো দৃশ্যমান নাজাসতের দেখা না মিলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ কাপড়কে পবিত্রই ধরে নেয়া হবে।