ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন।যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
তিনি বলেনঃ
وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/1893
আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয পরিমাণ ইলম শিক্ষা করা যেহেতু জরুরী।তাই আপনি জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ করবেন। এজন্য আপনি অনলাইনে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।জেনারেল লাইনকে বিসর্জন দিতে পারবেন না। বরং জেনারেল লাইনের শিক্ষাকে গ্রহণের পাশাপাশি আপনি দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করবেন। অফলাইনে তো অনেক মাদরাসা রয়েছে।আপনি কমেন্টে আপনার আবাসস্থল উল্লেখ করবেন।আমরা আপনাকে লোকশন বলে দেয়ার চেষ্টা করবো।
(২)
মহিলা কখনো ইমাম হতে পারে না।এবং শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য কোনো মসজিদ নির্মান করারও অনুমোদন নেই। হ্যা, কোনো মহিলা নিজ বাসার একটি রুমকে নামাযের জন্য নির্দিষ্ট করে নিতে পারে। যেখানে মাহরাম পুরুষের ইমামতিতে মহিলা নামায পড়বে।