আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
452 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আমরা অনেকেই ফ্রি লেন্সিং করে থাকি।
এরই অংশ বিশেষ হিসেবে কিছু এসাইন্মেন্ট (Assignment) করি আমি।
যেগুলা বিদেশি ছাত্ররা তাদের নিজের নাম ব্যবহার করে নিজ নিজ ইউনিভার্সিটিতে জমা দেয়। এর বিনিময়ে আমি কিছু টাকাও পাই।
আমার এই উপার্জন কি হারাম না হালাল?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

সাধারণত প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন থাকে যে   প্রতিটি স্টুডেন্টকে অ্যাসাইনমেন্ট নিজে হাতেই লিখতে হবে।

তাই অন্য কেউ যদি সেটা করে দেয়,তাহলে একাজটি শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে না। 

কারণ এটার মাধ্যমে স্টুডেন্ট এর  মেধা যাচাইয় করা হয়,তার যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। 
আর মেধা নির্ণিত হবে স্টুডেন্ট এর নিজ থেকে এ কাজ করলে।

সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব যোগ্যতা থেকে এসাইনমেন্ট তৈরী  করে। 

কিন্তু কারো কাছ থেকে দেখে লিখলে বা বলে লিখলে,অথবা প্রশ্নোক্ত ছুরত "লিখে দিলে" সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। কারণ সে যা জানে না। 
তাও সে জানে বলে প্রকাশ করছে।

 ফলে কর্তৃপক্ষ এটা দেখে ভাববে উক্ত স্টুডেন্টটি  আসলেই মেধাবী। কিন্তু আসলেতো মেধাবী নয়।  এ ধোঁকাবাজীর কারণে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ নয়।

তাছাড়া স্টুডেন্টকে  এ শর্তে সেটা লিখতে বলা হয় যে, সে কারো কাছ থেকে দেখে বা বলে লিখবে না,অন্যের মাধ্যমে লিখেও নিবেন। 

 এ জায়েজ শর্ত পালন করা উক্ত স্টুডেন্ট এর  উপর আবশ্যক। কিন্তু নিজে দেখে লেখা, কিংবা বলে নেয়া,অন্যের মাধ্যমে লিখে নেওয়ার মাধ্যমে উক্ত শর্তটি লঙ্ঘিত করা হয়। যা জায়েজ হবে না।

আর অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। 
তাই অন্যকে এই এসাইনমেন্ট লিখে দিলেও গোনাহগার হবে।
তা থেকে উপার্জিত হালাল হবেনা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন  
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...