আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبر كاته
আমরা  চারপাশে এমন অনেক মানুষ দেখি যে তারা ইসলামের অনেক কিছু জানে। যার কারণে অনেকে ফলো করে।কিন্ত তারা ইসলামকে ভুলভাবে জানে।কোরআনের আয়াতের বা হাদিসের  ভুল ব্যখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়, ফিতনা ছড়ায়।অনেকে এটা বুঝে না।আমার প্রশ্ন হচ্ছে--

তারা কি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এরকম শিক্ষা পায়?বা প্রতিষ্ঠান যদি সঠিক শিক্ষা দেয় তাও অনেকে ভুল ভাবে জানে।তাদের আসলে সমসম্যাটা কোথায়?এটা কি আকিদাগত সমস্যা?নাকি তারা কোরানের আয়াত বা হাদিসকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করে?

২)এদেরকে চিনার উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ইবনে ’আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «إِنَّ اللهَ لاَ يَقْبِضُ العِلْمَ انْتِزَاعاً يَنْتَزعهُ مِنَ النَّاسِ، وَلكِنْ يَقْبِضُ العِلْمَ بِقَبْضِ العُلَمَاءِ، حَتَّى إِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِماً، اتَّخَذَ النَّاسُ رُؤُوساً جُهَّالاً، فَسُئِلُوا فَأَفْتوا بِغَيْرِ عِلْمٍ، فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا . متفقٌ عَلَيْهِ
 তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “নিঃসন্দেহে আল্লাহ লোকদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ইলম তুলে নেবেন না; বরং উলামা সম্প্রদায়কে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে ইলম তুলে নেবেন (অর্থাৎ আলেম দুনিয়া থেকে শেষ হয়ে যাবে।) অবশেষে যখন কোন আলেম বাকি থাকবে না, তখন জনগণ মূর্খ অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে নেতা বানিয়ে নেবে এবং তাদেরকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হবে, আর তারা না জেনে ফতোয়া দেবে, ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে।” (সহীহুল বুখারী ১০০, ৭৩০৭, মুসলিম ২৬৭৩, তিরমিযী ২৬৫২, ইবনু মাজাহ ৫২, আহমাদ ৬৪৭৫, ৬৭৪৮, ৬৮৫৭, দারেমী ২৩৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) এর মূলত কুরআন সুন্নাহকে সঠিকভাবে না জানার কারণে ভুল করে থাকে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান করুক।আমীন।

(২)
বাস্তব ও প্রকাশ্য কোনো নিদর্শন নেই তাদের চিহ্নিত করার। তারা ভুল করছে কি না? সেটা কুরআন হাদীস সম্পর্কে অভিজ্ঞরাই বুঝতে পারবে। সুতরাং বিজ্ঞ আলেম যদি কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলেন, তাহলে তাদের কথাকে বিশ্বাস করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...