আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,

বর্তমান হক্কানী আলেমরা বলে থাকেন যে,আল্লাহ এই উম্মতকে  দাওয়াতের দায়িত্ব দিয়েছেন কারন আর নবী আসবেন না। আগের উম্মতের উপর এ দায়িত্ব ছিলো না।
কিন্তু আগের উম্মতের এরকম অনেক ঘটনা আছে যেখানে দাওয়াতি কাজ বা অসৎ কাজের নিষেধ না করার জন্য আল্লাহ অনেক উম্মত বা জাতিকে ধ্বংস করেছেন।

যেমন: লূত জাতিকে ধ্বংস করার আগে আল্লাহর অনুমতি নিয়ে ফেরেশতারা এক আবেদকে ধ্বংস করেছিলো যে অসৎ কাজ থেকে কাউকে বিরত না করে শুধু নিজে ইবাদত করত।

প্রশ্ন: আগের উম্মতের জন্য কী দাওয়াতি কাজ বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা ফরয ছিলো?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দাওয়াত ও তাবলীগ সকল যুগেই ছিল।উম্মতে মুহাম্মাদি এবং পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যেও দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব ছিল।পূর্ববর্তী যুগে দাওয়াত ও তাবলীগ ফরয ছিল,এর একটি প্রমাণ- নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় মুফতী শফী রাহ তাফসীরে মা'রিফুল কুরআনে উল্লেখ করেন,
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَواْ مِنكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُواْ قِرَدَةً خَاسِئِينَ
তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।
فَجَعَلْنَاهَا نَكَالاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।(সূরা বাকারা-৬৫)

বনি ইসরাঈলের মধ্যে শনিবারের মাছ শিকার নিয়ে কয়েকটা গ্রুপ ছিল,একটা গ্রুপ ছিল,যারা মাছ শিকার করেছে,একটা গ্রুপ ছিল,মাছ শিকার করেনি তবে তারা বাধা দানও করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা দুয়েকবার বাধা দান করে শেষ পর্যন্ত আর বাধা দান করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা শেষ পর্যন্ত বাধা দান করেছে।প্রথমোক্ত তিন গ্রুপকেই আল্লাহ বানর এবং শুকুর বানিয়েছিলেন।আর চতুর্থ গ্রুপকে অাল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।যেহেতু তারা সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদানের উপর অটল ছিলো।

উক্ত ঘটনা থেকে বুঝা যায় যে,পূর্ববর্তী যুগেও সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান ফরয ছিলো। তবে পূর্ববর্তী যুগে যেহেতু ধারাবাহিক নবী আসতেন,তাই সেই ফরয স্থায়ী ছিল না।বরং নবী আগমনের পূর্বে অস্থায়ী ছিল।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
قال رسولُ الله – صلى الله عليه وسلم -: «كانت بنُو إسرائيل تسُوسُهم الأنبياء، كلما هلَكَ نبيٌّ خلَفَه نبيٌّ، وإنه لا نبيَّ بعدِي» (متفق عليه)
পূর্বযুগে বনি ইসরাঈলে নবীগণ জাতীর নেতৃত্ব প্রদান করতেন।যখনই কোনো নবীর মৃত্যু হত,তখনই আরেক নবী চলে আসতেন।কিন্তু আমার পর কোনো নবী নাই।সুতরাং মুসলিম জাতীর নেতৃত্ব আমার উম্মতরাই দেবে।(সহীহ বুখারী,সহীহ মুসলিম)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
উম্মতে মুহাম্মাদির ন্যায় পূর্ববর্তী যুগেও সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ ফরযে কেফায়া ছিলো।এমনকি পূর্ববর্তী যুগে কোনো কোনো সময় ফরযে আইনও ছিলো।তবে পার্থক্য হল,পূর্ববর্তী যুগে ফরয বিধানটা সাময়িক ছিলো।আর উম্মতে মুহাম্মাদির ফরয বিধানটা চিরস্থায়ী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...