আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
.কাজের ক্ষেত্রে একলোক বাবাকে কিছু জিনিস কিনে দিলো বাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু একা সব খাওয়া সম্ভব না , তাই বাবা সেগুলো বাসায় নিয়ে আসে। এখন বাকিরা সেই খাবার খেতে পারবে?লোকটা তো জানে না যে এগুলো আমরাও খাবো।

২.অফিসের কর্মচারী দের জন্য কিছু খাবার এনে রাখা হয়। সেটা কর্মচারীরা খায়। যেটা বাড়তি থাকে তা অফিসের কাজের মহিলা কেও দিয়ে দেয়া হয়। তো সেগুলো যদি বাসায় আনা হয় তবে সেটা কি খাওয়া যাবে ?

৩. ইদানিং যেকোনো বাইরের খাবার খাওয়ার সময় কেমন জানি লাগে, যে এটা হালাল নাকি। আমি Swiss থেকে মাংসের একটা খাবার খাই, কিন্তু জানি না টা জবাই এর সময় আল্লাহ এর নাম নেয়া হয়েছিল কিনা। আর প্রতিবার যদি সম পরিমাণ টাকা সদকা দেই, সেটাও তো সম্ভব হয় না সব সময়। তাহলে তো যখনই সন্দেহ জাগবে তখনই কিছু টাকা দান করতে হবে । এক্ষেত্রে কি করবো?

৪. আমার কাছ থেকে ৪০০ টাকা নিয়ে দেয়ার কথা ভুলে গেছে একজন। আমি মাফ করে দিয়েছি। ওটা সে খাওয়ার কাজে খরচ করেছিল। এতদিন পর আমি চাইলাম যে, টাকা টা আমি মাফ করে দিবো ঠিকাছে, কিন্তু আমার নিয়ত টা পরিবর্তন করলাম। আমি সেটা সাওয়াব এর নিয়ত না রেখে সদকা হিসেবে গণ্য করতে চাইলাম, যদি হারাম খাওয়া হয়ে যায় সেটার জন্য। এমন কি করা যাবে? ওই টাকা লেনদেন অনেক দিন আগের কথা।

৫. আমরা তো কতো খাবারই খাই, নিজের অজান্তেই হারাম খেয়ে ফেললে কি করবো? আর সবসময় এমন চিন্তা আসলে কি করবো?

৬. নাপাক কাপড় ধোয়ার জন্য অন্য আরও কিছু কাপড়ের সাথে একসাথে বলে ভিজানো হয়। সব গুলোই কাচানো হয়। এবং পরে পানি দিয়ে ধোঁয়া হয় সবগুলোই এক বালতিতে তবে ভালো মত। এখন কি বাকি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে? কিন্তু কোনো কাপড়েই নাপাকীর কোনো চিহ্ন বা গন্ধ অবশিষ্ট নেই।নামাজ পড়া যাবে ওগুলো পড়ে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এটি আপনার বাবাকে হাদিয়া দেয়া হয়েছে।
আপনার বাবা সেগুলো বাসায় নিয়ে আসলে এখন বাকিরা সেই খাবার খেতে পারবে।

(০২)
খাবার যদি নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ করে দেয়া হয়,তারপর সেটি যদি আপনি নিজের ভাগ হতে কিছু অংশ খেয়ে বাকিটা বাসায় নিয়ে আসেন,তাহলে সেটি জায়েজ।

কিন্তু যদি খাবার নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ করে না দেয়া হয়,বরং একত্রে রাখা হয়,বলা হয় যে যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতে পারবে,তাহলে সেক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়া খাবার বাসায় আনা যাবেনা।
হ্যাঁ সংশ্লিষ্টদের থেকে অনুমতি নিয়ে বাসায় আনা যাবে।

(০৩)
মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার হোটেল সম্পর্কে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এমন ধারনা করা ঠিক হবেনা।  
গোশত খাওয়া যাবে,আপনাকে সম পরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবেনা।

(০৪)
আপনি তো তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে আফ করে দেননি,স্রেফ নিজ মনে মাফ করে দিয়েছেন।
যেটা সে জানেইনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে যদি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়,তাহলে আপনি সদকার নিয়ত করতে পারবেন।

(০৫)
যদি সেই খাবারটাই সত্তাগত ভাবে হারাম খাদ্য হয়,তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা করে মাফ চাইতে হবে।
আর যদি খাবার সত্তাগত ভাবে হারাম না হয়,বরং তাহা হারাম টাকায় ক্রয়কৃত হয়,তাহলে মনের অজান্তেই খেয়ে ফেললে আনুমানিক তার মূল্য ধরে একটি হিসেব কষে গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

তবে শুধু শুধু সন্দেহ করবেননা।

(০৬)
এখানে পাক+নাপাক প্রত্যেকটি কাপড়ই তিনবার ধোয়া লাগবে,প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।

তাহলেই কেবল সেগুলো পাক হবে,এর কম ধোয়া হলে কোনোটাই পাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...