আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
উস্তাদ ১ম সেমিস্টারের ফিকহের বিষয়ে ২ টি প্রশ্ন ছিল। সামনে পরীক্ষা। উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১/ মডিউল ২০ এ বলা হয়েছে যে পানি বা মাটি না পেলে বা ব্যবহারে অক্ষম হলে পবিত্রতা অর্জন ছাড়াই নামাজ পড়া যাবে এবং দ্বিতীয়বার কাযা আদায় করতে হবে না। কিন্তু লাস্টে পানিও নেই মাটিও নেই এই টপিকে বলা হয়েছে যে পরে আবার কাযা আদায় করতে হবে। যেমন: হাত পা বাঁধা অবস্থায় ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন ছাড়াই নামাজ আদায় করলে পরে কাযা আদায় করতে হবে। এর আগে তো বলা হলো কাযা অধ্যায় করতে হবে না কিন্তু এই সুরতে কেনো কাযার কথা বলা হলো বুঝতে পারিনি।

২/ মডিউল ২২ এ নিফাসের পরিচয়ে বলা আছে প্রসবের পরে নির্গত রক্ত হল নিফাস। প্রসবের সাথে বা এর পূর্বে নির্গত রক্ত ইস্তিহাজা। তাই বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় বা অর্ধেক বের হলেও নামাজ আদায় করতে হবে।
আবার মডিউল ২৫ এ নিফাস রিলেটেড কিছু আহকামে বলা হয়েছে যে বাচ্চা অর্ধেক বা অর্ধেকের বেশি বের হলেই নিফাসের হুকুম হবে এবং ওই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হবে না। ২ জায়গায় ২ রকম কথা লিখা তাই বুঝতে পারছি না কোনটা পড়বো আর পরীক্ষায় আসলে কোনটা সঠিক উত্তর দিবো!

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡهَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ

হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর) সূরা মায়েদা, আয়াত নং-৬

 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-

المحبوس في السجن يصلي بالتيمم ويعيد بالوضوء. لان العجز انما تحقق بصنع العباد وصنع العباد لا يؤثر في اسقاط حق الله تعالى.

মর্মার্থ: জেলে বন্দী ব্যক্তি সে (পানি না পেলে) তায়াম্মুম করে নামাজ পড়বে। অত:পর পানি পেলে ওজু করে উক্ত নামাজ আবার আদায় করবে। কারণ এখানে মানুষের কর্মের মাধ্যমে পানি ব্যবহারে অক্ষমতা পাওয়া গিয়েছে। আর মানুষের কর্ম আল্লাহ তায়ালার হক রহিত করণের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৮১

 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-

ولو خرج اكثر الولد تكون نفساء والا فلا.

মর্মার্থ: যদি বাচ্চার অধিকাংশ বের হয় তাহলে নেফাস হিসেবে ধরা হবে অন্যথায় নয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৯১

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. ২০ নম্বর মডিউলে যেখানে বলা হয়েছে যে পানি বা মাটি না পেলে বা ব্যবহারে অক্ষম হলে পবিত্রতা অর্জন ছাড়াই নামাজ পড়া যাবে এবং দ্বিতীয়বার কাযা আদায় করতে হবে না। এটা ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে যাকে বন্দি ইত্যাদি ছাড়াই পানি বা মাটি পেলো না  অথবা তার হাত-পা ও মুখে এমন রোগ হয়েছে ফলে পানি ও মাটি ব্যবহারে অক্ষম।

আর যেখানে বলা হয়েছে যে, ‘হাত পা বাঁধা অবস্থায় ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন ছাড়াই নামাজ আদায় করলে পরে কাযা আদায় করতে হবে।’ এটা এই জন্য যে, এখানে মানুষের কর্মের মাধ্যমে পানি ব্যবহারে অক্ষমতা পাওয়া গিয়েছে। আর এটা এভাবে যে, তাকে অন্য কোনো ব্যক্তি বন্দি করে রেখেছে। ফলে সে পানি ব্যবহারে অক্ষম হয়েছে।  আর মানুষের কর্ম আল্লাহ তায়ালার হক রহিত করণের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না।

 

২. প্রশ্নোক্ত মাসআলায় একাধিক মত থাকার কারণে এভাবে পড়ানো হয়েছিলো। তবে এটা শিটে আপডেট করা হবে। তাই এই মতটি গ্রহণ করবেন। আর তা হলো- ‘যদি বাচ্চার অধিকাংশ বের হয় তাহলে নেফাস হিসেবে ধরা হবে অন্যথায় নয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৯১’


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (59,970 points)
edited by
অসুস্থতার কারণে উত্তর দিতে দেরী হওয়াই আন্তরিকভাবে দুঃখিত৷

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...