ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا
قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡهَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی
الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে
দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত
কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। সূরা মায়েদা, আয়াত নং-৬
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-
المحبوس في السجن يصلي بالتيمم ويعيد بالوضوء.
لان العجز انما تحقق بصنع العباد وصنع العباد لا يؤثر في اسقاط حق الله تعالى.
মর্মার্থ: জেলে বন্দী
ব্যক্তি সে (পানি না পেলে) তায়াম্মুম করে নামাজ পড়বে। অত:পর পানি পেলে ওজু করে
উক্ত নামাজ আবার আদায় করবে। কারণ এখানে মানুষের কর্মের মাধ্যমে পানি ব্যবহারে
অক্ষমতা পাওয়া গিয়েছে। আর মানুষের কর্ম আল্লাহ তায়ালার হক রহিত করণের ক্ষেত্রে
কোনো প্রভাব ফেলে না। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৮১
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-
ولو خرج اكثر الولد تكون نفساء
والا فلا.
মর্মার্থ: যদি বাচ্চার অধিকাংশ বের
হয় তাহলে নেফাস হিসেবে ধরা হবে অন্যথায় নয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৯১
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. ২০ নম্বর মডিউলে যেখানে বলা হয়েছে যে
পানি বা মাটি না পেলে বা ব্যবহারে অক্ষম হলে পবিত্রতা অর্জন ছাড়াই নামাজ পড়া
যাবে এবং দ্বিতীয়বার কাযা আদায় করতে হবে না। এটা ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে যাকে বন্দি
ইত্যাদি ছাড়াই পানি বা মাটি পেলো না অথবা
তার হাত-পা ও মুখে এমন রোগ হয়েছে ফলে পানি ও মাটি ব্যবহারে অক্ষম।
আর যেখানে বলা হয়েছে যে, ‘হাত পা বাঁধা অবস্থায় ব্যক্তি পবিত্রতা
অর্জন ছাড়াই নামাজ আদায় করলে পরে কাযা আদায় করতে হবে।’ এটা এই জন্য যে, এখানে মানুষের কর্মের মাধ্যমে পানি ব্যবহারে অক্ষমতা পাওয়া
গিয়েছে। আর এটা এভাবে যে, তাকে অন্য
কোনো ব্যক্তি বন্দি করে রেখেছে। ফলে সে পানি ব্যবহারে অক্ষম হয়েছে। আর মানুষের কর্ম আল্লাহ তায়ালার
হক রহিত করণের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না।
২. প্রশ্নোক্ত মাসআলায়
একাধিক মত থাকার কারণে এভাবে পড়ানো হয়েছিলো। তবে এটা শিটে আপডেট করা হবে। তাই এই
মতটি গ্রহণ করবেন। আর তা হলো- ‘যদি বাচ্চার অধিকাংশ বের হয় তাহলে নেফাস হিসেবে ধরা
হবে অন্যথায় নয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৯১’