আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
একজনের সামনে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা। তার পরীক্ষার সময় শুরু ১২:৩০ ও শেষ ৩:৩০। কখন সে যোহরের সালাত আদায় করবে? যোহরের সালাত কী কাজা করবে?

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর কোনো আমল বা দোয়া আছে?

নামাজের সিজদার সময় পা দিয়ে পা চুলকালে কি নামাজ হবে?

নামাজে মনোযোগী হবার কিছু উপায় কী?

পায়ের উপর পা তুলে বসা কী জায়েজ? এ সম্পর্কে হাদীসে কিছু আছে কী?

ইমান বৃদ্ধির কিছু আমল বলবেন।

মানসিকভাবে শান্তি পাওয়ার আমল কী?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1365 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
(فَلَا تَجِبُ عَلَى مَرِيضٍ وَمُقْعَدٍ وَزَمِنٍ وَمَقْطُوعِ يَدٍ وَرِجْلٍ مِنْ خِلَافٍ) فَقَطْ، ذَكَرَهُ الْحَدَّادِيُّ (وَمَفْلُوجٍ وَشَيْخٍ كَبِيرٍ عَاجِزٍ وَأَعْمَى) وَإِنْ وَجَدَ قَائِدًا (وَلَا عَلَى مَنْ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَطَرٌ وَطِينٌ وَبَرْدٌ شَدِيدٌ وَظُلْمَةٌ كَذَلِكَ) وَرِيحٌ لَيْلًا لَا نَهَارًا، وَخَوْفٌ عَلَى مَالِهِ، أَوْ مِنْ غَرِيمٍ أَوْ ظَالِمٍ، أَوْ مُدَافَعَةُ أَحَدِ الْأَخْبَثَيْنِ، وَإِرَادَةُ سَفَرٍ، وَقِيَامُهُ بِمَرِيضٍ، وَحُضُورُ طَعَامٍ (تَتَوَقَّهُ) نَفْسُهُ ذَكَرَهُ الْحَدَّادِيُّ، وَكَذَا اشْتِغَالُهُ بِالْفِقْهِ لَا بِغَيْرِهِ، كَذَا جَزَمَ بِهِ الْبَاقَانِيُّ تَبَعًا لِلْبَهْنَسِيِّ: أَيْ إلَّا إذَا وَاظَبَ تَكَاسُلًا فَلَا يُعْذَرُ،
সুতরাং অসুস্থ ব্যক্তি,বিকলাঙ্গ, দীর্ঘদিন যাবৎ রোগাক্রান্ত, হাত বা পার কোনো একটি কর্তিত ব্যক্তির উপর জামাত ওয়াজিব নয়।এগুলো হাদ্দাদি রাহ উল্লেখ করেছেন।ঠিক তেমনি শরীরের কোনো সাইট অচেতন ব্যক্তি এবং বয়োঃবৃদ্ধ অক্ষম ও অন্ধ ব্যক্তির উপর জামাত ওয়াজিব নয়।যদিও তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়ার মত লোক থাকুক না কেন।ঠিক তেমনি বৃষ্টি, কাদা,কনকনে শীত,বা অন্ধকার যদি কোনো মানুষকে মসজিদে যেতে বাধা প্রদাণ করে তাহলে তখন দাদের উপরও জামাত ওয়াজিব নয়।রাত্রে প্রবল বাতাশ থাকলে ও জামাত ওয়াজিব নয়।নিজের মালে ক্ষতির আশংকা থাকলে, বা নিজে ঋণী থাকলে(এমন ঋণ যা পরিশোধের সামর্থ্য বর্তমানে নেই)বা জালিমের ভয় থাকলে কিংবা দুই ক্ষতির মধ্যে বড় ক্ষতিকে প্রতিহত করতে জামাত তরক করা যাবে।কেননা তখন তাদের উপর জামাত ওয়াজিব নয়।সফরের ইচ্ছা করলে বা অসুস্থ ব্যক্তির সেবার কারণে বা এমন খাদ্যর উপস্থিতিতে যার চাহিদা বর্তমানে অন্তরে রয়েছে,জামাত তরক করা যাবে।এগুলো হাদ্দাদি রাহ উল্লেখ করেছেন।
ঠিকতেমনি ফিকহের সাথে মশগুল থাকার কারণে জামাত তরক করা যাবে।তবে যদি কোনো মুফতী অলসতা বসত এটাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন,তবে তখন জমাতকর তরক করা জায়েয হবে না।
(আদ্দুর্রুল মমুখতার-১/৫৫৫)(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হ্যা, বিশেষ কারণ বশত জামাতের সাথে জোহর পড়তে না পারলে, পরে একাকী জোহর পড়ার রুখসত থাকবে বা পরীক্ষার সময় গুলোতে কাযা পড়তে পারবে।

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য লাল সুরমা ব্যবহার করবেন।

নামাজের সিজদার সময় পা দিয়ে পা তিনবার চুলকালে নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে।

মনে করবেন যে, নামায হচ্ছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ।

পায়ের উপর পা তুলে বসা সম্পর্কে পরে বলবো।

ইমান বৃদ্ধির মানসিকভাবে শান্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে নেককার ব্যক্তির সোহবতে যেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...