আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
159 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার নানির চোখে কর্নিয়াতে ইনফেকশন হয়েছে। তাকাতে পারেন না ব্যথায় খুব গুরুতর অবস্থা। এমতাবস্থায় ডাক্তার স্ট্রিক্টলি বলেছেন চোখে আগামী ১০ দিন কোনরকম পানি প্রবেশ করানো যাবেনা। প্রশ্ন ছিল উনি তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ পড়তে পারবেন কি? ওনার চোখে মুখে ছাড়া আর কোথাও পানি লাগানোতে নিষেধ নেই তাই মুখ বাদে সম্পূর্ণ ওযু করে মুখ মাসেহ করা বাধ্যতামূলক কিনা এবং সেক্ষেত্রে প্রসেস কি হবে। নাকি তায়াম্মুম করলেই চলবে ইন শা আল্লাহ। জাযাকাল্লাহু খইর

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো শরীরের অধিকাংশ জায়গা ক্ষত হয়,তাহলে সে তায়াম্মুম করিবে।
ক্ষত জায়গায় মাসাহ করিবে।
সমস্যা হলে সেই জায়গা ছেড়ে দিবে।  

যদি অধিকাংশ জায়গা ভালো থাকে,তাহলে তায়াম্মুম করিবেনা,বরং ধৌত করিবে।
ক্ষতস্থানের জায়গা  যদি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ মলে মলে ধোয়ার মতো এই জায়গা ধোয়া না যায়,তাহলে শুধু পানি প্রবাহিত করে দিবে। যদি পানি প্রবাবিত করে দেওয়া ক্ষতিকর হয়,তাহলে মাসাহ করে নিবে,অর্থাৎ সামান্য ভেজা আঙ্গুল হালকা ভাবে যখমের স্থানের উপর ফিরিয়ে নিবে।
,
যদি মাসেহ করাটাও ক্ষতিকর হয়,কঠিন হয়,তাহলে সেই অঙ্গ আপন অবস্থায়  ছেড়ে দিবে,বাকি অঙ্গ ধুয়ে ফেলবে।
সেই স্থান এমতাবস্থায়  শুকনো রাখা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৫/৩০১)
     
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ خُرَيْقٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِي رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ : هَلْ تَجِدُونَ لِي رُخْصَةً فِي التَّيَمُّمِ؟ فَقَالُوا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ، فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم أُخْبِرَ بِذَلِكَ فَقَالَ : " قَتَلُوهُ قَتَلَهُمُ اللهُ أَلَّا سَأَلُوا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ " . أَوْ " يَعْصِبَ " . شَكَّ مُوسَى " عَلَى جُرْحِهِ خِرْقَةً ثُمَّ يَمْسَحَ عَلَيْهَا وَيَغْسِلَ سَائِرَ جَسَدِهِ " . - حسن (سنن أبي داؤد، الطہارۃ / باب في المجروح یتیمم ۱؍۱۴۹ رقم ۳۳۶)

জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা কোন এক সফরে বের হলে আমাদের মধ্যকার একজনের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে সে সাথীদের জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি আমার জন্য তায়াম্মুমের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি পাও? তারা বলল, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম, তাই তোমাকে তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া যায় না। অতএব সে গোসল করল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলো। তিনি বললেনঃ এরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন। তাদের যখন (সমাধান) জানা ছিল না, তারা কেন জিজ্ঞেস করে তা জেনে নিল না। কারণ অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। ঐ লোকটির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্ট ছিল। আর যখমের স্থানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসাহ্ করে শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হত।
(আবু দাউদ ৩৩৬.বায়হাক্বী (১/২২৮), দারাকুতনী (১/১৯০)।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ,যদি আপনার নানির চোখের উপরে মাসাহ করা সম্ভবপর হয়,তাহলে সামান্য ভেজা আঙ্গুল হালকা ভাবে চোখের উপর ফিরিয়ে নিবে।
,
যদি ব্যান্ডেজ থাকে,তাহলে ব্যান্ডেজের উপরেই এই মাসাহ করবে।
,
আর অবশিষ্ট মুখ ও অন্যান্য অঙ্গ ধৌত করবে।
,
হ্যাঁ যদি যদি চোখে মাসাহ করাও ক্ষতিকর হয়,তাহলে সেই জায়গা ছেড়ে দিবে,বাকি চেহারার অন্যান্য অংশ সহ অযুর অন্যান্য অঙ্গ গুলো ধৌত করবে।
চোখ এমতাবস্থায়  শুকনো রাখা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।   
,
আরো জানুনঃ 

★উল্লেখ্য এখানে চোখের সমস্যা,ডাক্তার চোখে পানি পৌছাতে নিষেধ করেছেন।
চেহারা নয়।
চেহারার বাকি অংশে পানি পৌছানোতে কোনো সমস্যা দেখছিনা। 
সমস্যা হলে হাত ভিজিয়ে নিয়ে চেহারার বাকি অংশ মুছে দিবে।

((তবে অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার যদি বলে যে চোখের সাথে চেহারায় পানি পৌছানোও নিষেধ,তাহলে চেহারা মাসাহ করবে।
চেহারার বাকি অংশ মাসাহ করা ক্ষতিকর হলে চেহারা ছেড়ে দিবে।
অযুর অন্যান্য অঙ্গ গুলো ধৌত করবে।))


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...