ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
حَدَّثَنَا أَبُو الْجَهْمِ الْأَزْرَقُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُسْتَلِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নবীগণ তাদের কবরে জীবিত। তারা সেখানে নামায পড়েন।(মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫)
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত আরো একটি পরিস্কার হাদীসও এর প্রমাণবাহী।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أَتَيْتُ – وَفِي رِوَايَةِ هَدَّابٍ: مَرَرْتُ – عَلَى مُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ “
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, আমি মেরাজের রাতে কাসীবে আহমার স্থান অতিক্রমকালে দেখতে পাই হযরত মুসা আঃ তার কবরে নামায পড়ছেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৩৭৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নবীগণ কবরে জীবিত। তবে তারা দুনিয়ার জীবিত মানুষের মত নয়। বরং বলা যায় যে, তাদের শরীরের সাথে রুহের সম্পর্ক রয়েছে।এই সম্পর্কটা ঘুমন্ত মানুষের মত।অর্থাৎ একজন ঘুমন্ত মানুষের শরীরের সাথে তার রুহ যেভাবে থাকে, ঠিক সেইভাবে নবীদের শরীরের সাথে তাদের রুহের সম্পর্ক কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
তাছাড়া অন্যান্য মৃত মানুষের শরীরের সাথে রুহের তেমন সম্পর্ক থাকবে না। সাধারণ লোকজনের হিসাব নিকাশ ও সুওয়াল জবাব তাদের রুহের সাথেই হবে।