ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/2377 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যেমনঃ- হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী-৫৬১৮)
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী-২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253
যদি ব্যবহারিক জিনিষে এত ছোট্ট পরিমাণ ফটো থাকে যে, উক্ত ফটোকে জমিনে থাকাবস্থায় দাড়িয়ে সেটার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয় না, তাহলে এমন ফটো থাকার কারণে উক্ত জিনিষের ব্যবহার হারাম হবে না। হ্যা যিনি বানাবেন, তিনি অবশ্যই বড় আকৃতির ফটো বানানোর সমপর্যায়ের গোনাহগার হবেন। অথবা যদি ফটো মাথা কর্তিত থাকে বা এমন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কর্তিত অবস্থায় থাকে,যা না থাকার কারণে প্রাণী জীবিত থাকতে পারে না,অথবা কোথাও অসম্মানের সাথে ফটোকে রাখা হয়,তাহলে এজাতীয় ফটো সমূহের ব্যবহার অবৈধ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1955
মলাটের ভিতর ঢাকা থাকলে রহমতের ফিরিস্তার জন্য প্রতিবন্ধক হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1334
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে ঘরে ছবি থাকবে বা ভিডিও চলবে, সে ঘরে রহমতের ফিরিশতা কখনো প্রবেশ করবেন না। তবে নামায আদায় করলে নামায হবে। সুতরাং নামাযের জন্য ছবি মুক্ত কোনো স্থান বাছাই করতে হবে।
(২)
তিন তাসবিহ পরিমাণ নিশ্চুপ থাকলে, সাহু সিজদা দিতে হবে।না দিলে নামাযকে দোহড়িয়ে পড়তে হবে।
(৩)
নিজেকে ঈমানের উপর অটল রাখতে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।
(৪)
জ্বী, আবার নতুনকরে অজু করে ফজরের নামায পড়তে হবে।
(৫)
নবীকে পেতে এর অর্থ সাধারণত নবীর সুন্নত দ্বারা নিজের জীবনকে আলোকিত করা, নবীর শেফায়ত অর্জন করা ইত্যাদি হয়ে থাকে। সুতরাং এ হিসেবে উক্ত বাক্য শিরক হচ্ছে না।