আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in পবিত্রতা (Purity) by (52 points)
আমি প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা ফোটা পড়তে থাকে।তাই প্রতি সালাতের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর ওজু করি।আমি ঘুমের কারণে ফজর পড়তে পারিনি।সূর্যদোয় থেকে ১৫ মিনিট তো নিষিদ্ধ সময় আমি যদি এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে ছুটে যাওয়া সালাত শুরু করি আর যদি সালাত শেষ করতে না পারি তাহলে কি আবার ওজু করে সালাত পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের বিধান হলো নিষিদ্ধ ওয়াক্তে ফরজ/ওয়াজিব নামাজ আদায় করলে সেটি আদায় হয়না।
পুনরায় তাহা আদায় করতে হয়।

(তবে ঐ দিনের আছরের নামাজের বিধান ব্যতিক্রম।)  
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

উকবা বিন আমের জুহানী রাযি. বলেন,

ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ

তিনটি সময়ে রাসুল ﷺ আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)

অন্য হাদীসে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَا يَتَحَرّى أَحَدُكُمْ فَيُصَلِّيَ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَلَا عِنْدَ غُرُوبِهَا وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: إِذَا طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلَاةَ حَتّى تَبْرُزَ. فَإِذا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلَاةَ حَتّى تَغِيْبَ وَلَا تَحَيَّنُوا بِصَلَاتِكُمْ طُلُوْعَ الشَّمْسِ وَلَا غُرُوْبَهَا فَإِنَّهَا تطلع بَين قَرْنَيِ الشَّيْطَانِ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন সূর্য উদয়ের ও অস্ত যাওয়ার সময় সলাত আদায়ের জন্য অন্বেষণ না করে।

একটি বর্ণনার ভাষা হলো, তিনি বলেছেন, ‘‘যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন সলাত  ত্যাগ করবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন সলাত আদায় করা থেকে বিরত থাকবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় সলাতের ইচ্ছা করবে না। কারণ সূর্য শায়ত্বনের (শয়তানের) দু’ শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়।

(বুখারী ৫৮৫, ৩২৮৩, মুসলিম ৮২৮,মিশকাতুল মাসাবিহ ১০৩৯)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
وینعقد نفل بشروع فیہا بکراہة التحریم، لا ینعقد الفرض وما ہو ملحق بہ کواجب لعینہ کوتر: وصح مع الکراہة تطوع بدأ فیہا (الدر المختار مع الرد: ۲/ ۳۴-۳۵)
সারমর্মঃ
উক্ত নিষিদ্ধ ওয়াক্তে নফল নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি। 
ফরজ এবং এ জাতীয় নামাজ (ওয়াজিব) সেই সময়ে আদায়ই হবেনা। 
যদি সেই সময়ে কোনো নফল নামাজ শুরু করে,তাহলে তাহা মাকরুহের সহিত সহীহ হবে।
  
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ  

 والتطوع في ہذہ الأوقات یجوز ویکرہ (۱/۱۰۸) 
অনুবাদঃ যদি সেই সময়ে কোনো নফল নামাজ শুরু করে,তাহলে তাহা মাকরুহের সহিত সহীহ হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

প্রশ্নে উল্লেখিত ফজরের সালাত যেহেতু নিষিদ্ধ ওয়াক্তে শুরু করা হয়েছে,তাই সেই নামাজ সহীহ হয়নি।
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। 

এখন কথা হলো আপনি যেহেতু মা'যুর,তাই আপনার অযু থাকবে কিনা?

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনি যদি ফজরের ওয়াক্তের মধ্যে অযু করে থাকেন,তাহলে আপনার অযু বাতিল হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় অযু করে সালাত আদায় করতে হবে।

আর যদি আপনি ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর তথা সূর্য উদয়ের সময় বা তার পরে অযু করে থাকেন,তাহলে আপনার অযু জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ

فتاوی شامی  (1/ 306):
'' وأفاد أنه لو توضأ بعد الطلوع ولو لعيد أو ضحى لم يبطل إلا بخروج وقت الظهر''
সারমর্মঃ
কোনো মা'যুর ব্যাক্তি যদি সূর্য উদিত হওয়ার পর অযু করে,চাই ঈদের নামাজের জন্য বা চাশতের নামাজের জন্য,তাহলে তার অযু জোহরের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাতিল হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 74 views
...