আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
424 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

উস্তাদ,

কয়েকদিন আগে একজন আলেম বয়ান করছিলেন যে,  সারাজীবনের ওয়াজ নসীহতের মুল উদ্দেশ্য ৩ টি শব্দের মধ্যেই নিহিত আছে। এগুলো হলোঃ

১) মারেফাত (পরিচয়)

২) মুহাব্বাত( মায়া-দরদ)

৩) এতায়াত ( মান্য করা)

সার কথা বলেছেন এটা যে, আল্লাহ এর পরিচয় ভালভাবে জেনে আল্লাহ কে সম্পূর্ণ চিনতে পারলে, অটোমেটিক আল্লাহর জন্য মুহাব্বাত জাগবে, আল্লাহর জন্য মুহাব্বাত একবার এসে গেলে আল্লাহর সকল হুকুম মান্য করা ও সহজ হয়ে যাবে যার মধ্য দিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা যাবে।

এখন এটা জানা প্রয়োজন যে, ★আল্লাহকে সম্পূর্ণ কিভাবে চিনব, উপায়গুলো কী কী, কিভাবে সামনে অগ্রসর হতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (735,240 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।(সূরা আলে ইমরান-৩১)

আল্লাহ বলছেন,যে উনাকে পেতে হলে,উনাকে কেউ মহব্বত করলে,রাসূল সাঃ এর অনুসরণ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-১০৩৭

সুতরাং তাসাউফ তথা কোনো হক্কানী,রব্বানী আলেমের সংস্পর্শ দ্বারাই আল্লাহর সঠিক ও যথার্থ পরিচয় লাভ করা সম্ভব হবে।এবং পুরোপুরি রাসূলের অনুসরণ করা এবং রাসূল সাঃ এর পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করাও সম্ভবপর হবে।

আল্লাহর মহব্বত লাভের জন্য সর্বদা নিম্নোক্ত দু'আ করবেন।
اللَّهُمَّ أرْزُقْنِي حُبَّكَ وَ حُبَّ منْ يَنْفَعُنِي حُبُّه عِندَكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মারজুকনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাঁইয়ানফানি হুব্বুহু ইংদাকা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনার ভালোবাসা দান করুন এবং যার ভালোবাসা আপনার কাছে আমার জন্য উপকারী হয়, তার ভালোবাসাও দান করুন।’
উপকার : রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় এই দোয়া করতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (37 points)
উস্তাদ, 

১) তার মানে সরাসরি কোনো হক্কানী আলেমকে নিজের মুরব্বী বানিয়ে তার নিকট  দ্বীনের তালিমের জন্য আসা যাওয়া করতে হবে,তাদের সোহবতে যেতে হবে, এভাবেই পুরোপুরি আল্লাহর পরিচয় পাওয়া যাবে। এটা ই কি বুঝিয়েছেন??? 

২) উক্ত দোয়াটি আরবিতে হরকত সহ দিলে ভাল হয়।

জাজাক আল্লাহ
by (735,240 points)
জ্বী।
সরাসরি কোনো হক্কানী আলেমকে নিজের মুরব্বী বানিয়ে তার নিকট  দ্বীনের তালিমের জন্য আসা যাওয়া করতে হবে,তাদের সোহবতে যেতে হবে, এভাবেই পুরোপুরি আল্লাহর পরিচয় পাওয়া যাবে।


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...