আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in সালাত(Prayer) by (130 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

ঘুমানোর কারণে সব মানুষের চোখের কোনায় হাল্কা কিছু জমে।এটা আমাদের স্থানীয় ভাষায় কেঞ্জুল বলে। ত আমি ফজরের অযু করে নামাজ পড়ে দেখি,চোখের কোনায় শুকনো কেঞ্জুল আছে এক বর্গসেমির মত,দেখতে মরা চামড়ার মত।

এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে সেখানে অযুর পানি পৌছায়ছে কিনা।এটা কি পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধক? এটাত সব মানুষের হয় কারোটা সাদা কারোটা এমন।সে স্থানেও আমি পানি দিয়েছি,কিন্তু প্রতিবন্ধক হয়েছিল কিনা জানিনা।

আমার নামাজ কি আবার পড়তে হবে

1 Answer

0 votes
by (600,300 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1024 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফরয গোসলের ক্ষেত্রে সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা ফরয।সুতরাং পানি পৌছতে বাধা দেয় এমন কোনো জিনিষ শরীরের সাথে লেগে থাকতে পারবে না।বরং এমন জিনিষকে শরীর থেকে পৃথক করা বা পৃথক রাখা ফরয।মারাক্বিল ফালাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
ولا بد من زوال ما يمنع من وصول الماء للجسد كشمع وعجين
শরীরে পানি পৌছতে বাধা দানকারী জিনিষ শরীর থেকে পৃথক রাখতে হবে।যেমন- মোম,বা মাখানো আটা।(মারাক্বিল ফালাহ-১/৪৫)

ঠিক তেমনি হাদাছে আসগর থেকে পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ওজুর ক্ষেত্রে ওজুর সমস্ত অঙ্গকে ধোত করা ফরয।এবং পানি পৌছতে বাধা প্রদাণ কারী সকল জিনিষকে শরীর থেকে পৃথক রাখা জরুরী।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর চোখের কোনে যে জিনিষ লেগে থাকে, সেটা পানি প্রতিবন্ধক হবে না।সুতরাং টেনশনের কোনো কারণ হতে পারে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 209 views
0 votes
1 answer 240 views
+1 vote
1 answer 496 views
...