আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (57 points)
১) কোন সামি যদি তার  স্ত্রি কে বলে((((((( শান্তির জন্যই তোমাকে ত্যাগ  করা  এখন ফরয )))))) এতে কি তালাক হয়ে যায় হইলে কয় তালাক হয় সেটা কি বায়েন হবে নাকি রেজয়ি   তালাক  হবে
২)  কোন সামি যদি স্ত্রি কে বলে  তোমাকে র রাকবনা,  চলে জাও,  বাসা থেকে বের হউ,  চোখ এর সামনে থেকে যাও তাহলে কি তালাক হয় হইলে কয় তালাক হয়, সেটা    কি     বায়েন তালাক হয়

৩)  কোন  স্ত্রি যদি সামিকে এভাবে বলে যে(   আমি তোমাকে   সামি হিসেবে মানি না ,  তুমি আমার সামি না)  সামি যদি বলে যে আমিও জানি আজকের পর তুমি র আমার সাথে থাকবা না, সামি হিসেবে মানবা না
এতে কি তালাক হয়, হইলে কয় তালাক হয় সেটা কি বায়েন হয়

৪) কোন সামি তার স্ত্রী কে তালাক তালাক দিতে চাইলে স্ত্রি যদি বলে (((((আমাকে র একটা   সুজগ দাও     ,  এই ভুল আবার করলে র কোন  সুজগ চাব না,  নিজেই সব দায় নিয়ে চলে যাব))))
এখন প্রস্ন হল স্ত্রি যদি সেই ভুল আবার করে তাহলে কি সেই স্ত্রি তালাক হয়ে যাবে,  হইলে কয় তালাক হয়  সেটা বায়েন হয় নাকি রেজয়ি      
৫)))) কোন সামি যদি স্ত্রি কে,  তুমি মুক্ত আমি তমাকে মুক্ত করে দিছি যা  খুশি কর    ,    তালাকের নিওত  থাকলে কয় তালাক হয় সেটা কি বায়েন তালাক  হয়

৬)))))  কোন  সামি যদি বলে কবে আসবা সসুর বারি ,  স্ত্রি যদি বলে ১৪ তারিখ,  সামি যদি তখন বলে তোমার ইচ্ছা মত আসলে ত হবে না ১৪   তারিখ  ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে বাপের বারি জাইও সসুর বারি র আসা লাগবে না,  স্ত্রী ১৪ তারিখ না আসলে কয় তালাক হবে,  সেটা কি বায়েন তালাক হয়

৭)))) কোন সামি যদি স্ত্রি কে বলে যে আমি  তোমাকে রাকতে  রাজি না,  স্ত্রি যদি বলে রাখ আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে,  সামি তখন বলে ঠিক আছে,
এতে কি তালাক হয় হইলে কয় তালাক হয় সেটা কি বায়েন তালাক হয়

৮)))) সামি যদি  তালাকের মজলিশ এ  তালাক এর নিওত এ বলে ( চিরতরে চলে যাও))))) কিন্তু  কয় তালাক দিচ্ছে সেই সংখ্যা  নিওত না করে    ,  (((( মনে মনে এমন চিন্তা করে যে  এই স্ত্রী কে নিয়ে র সংসার করবে না, ছেরে দিবে তাহলে কয় তালাক হব))))       
যেহেতু তালাক এর নিওত করছে কিন্তু কয় তালাক দিচ্ছে তার     সংখ্যা    নিওত করে নাই এক্ষেত্রে কয় তালাক হয়, সেটা কি বায়েন তালাক হয়

৯)))) কোন সামি যদি বলে যে((( এই স্ত্রী এর সাথে সে মরে গেলেও সংসার করবে না,  )))  তাহলে কি তালাক হয়,  তালাক হলে  কয় তালাক আর সেটা কি বায়েন তালাক হয়

১১) কোন সামি যদি স্ত্রি কে বলে কবে আসবা সসুর বারি ,  স্ত্রি যদি বলে পরিক্ষা সেশ হইলে,  তখন সামি যদি বলে ও বুজছি  ,  ১২ তারিখ এর ভেতর না আসলে  তাইলে র হচ্ছে না, এত সময় নেই আমার হাতে,  তুমি তোমার মত চলতে পার,  ভেজাল সেশ করে জাব এবার
সস্ত্রি ১২ তারিখ এর ভেতর না আসলে
এতে কি তালাক হয়,  হইলে কয় তালাক হয়,  সেটা কি বায়েন তালাক হয়     
১০)))))  আমি জানার জন্য এতখন  প্রস্ন করছি    ,  এভাবে কেও  জানার জন্য কোন   প্রস্ন  করায় কি তালাক হয়

কোন সামি যদি জানার জন্য এভাবে প্রস্ন করত তাহলে কি,  তালাকের সিকারক্তি হত,  র তালাক হয়ে যেত

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলে বায়েন তালাক পতিত হবে।    
এখানে স্বামীর যত তালাকের নিয়ত থাকবে,তত তালাকই হবে।
যদি কোনো সংখ্যার নিয়ত না থাকে,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 

আরো জানুনঃ  

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুঝা যায় যে এতে তালাক হবেনা।

(০৪)
স্ত্রী সেই ভুল আবারো করলে তালাক হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে বায়েন তালাক পতিত হবে।    
এখানে স্বামীর যত তালাকের নিয়ত থাকবে,তত তালাকই হবে।
যদি কোনো সংখ্যার নিয়ত না থাকে,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 

(০৬)
এতে তালাক হবেনা।

(০৭)
এতে তালাক হবেনা।

(০৮)
এক তালাকে বায়েন হবে।

(০৯)
তালাক হবেনা।

(১১)
তালাক হবেনা।

(১০)
এভাবে প্রশ্ন করাতে তালাক পতিত হয়নি।

কোনো স্বামী এই পদ্ধতিতে অন্যের দিকে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করে,তাহলে তালাক হবেনা,তালাকের স্বীকারোক্তিও হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...