হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»
আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر
যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর অক্ষম হয়ে যায়,এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিবেন।
দুজন বিজ্ঞ মুসলমান ডাক্তার যখন থেকে রুকু সিজদা থেকে বারণ করবে, তখন থেকেই মূলত ইশারার মাধ্যমে রুক সিজদা করা লাগবে। আর দাড়ানোতে যেহেতু গর্ভের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, তাই প্রতি রাকাতে দাড়াতে হবে।
এক্ষেত্রে সময় নিয়ে দাড়াতে এবং বসা লাগলেও নামাজের ক্ষতি হবেনা।
দাঁড়িয়ে কিরাআত পাঠ কর রুকু সেজদাহ এর সময় চেয়ারে বসে ইশারায় রুকু সেজদাহ আদায় করবেন।
রুকুর তুলনায় সেজদায়ে মাথা একটু বেশি ঝুকাবেন।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার যদি আপনাকে রুকু সেজদাহ করতে বারন করে।
তাহলে আপনি যদি মাটিতে বসে রুকু সেজদাহ ঠিক মতো আদায় করতে পারেন,তাহলে সে মাটিতে বসে নামাজ আদায় করবেন।
আর যদি সে মাটিতে বসে রুকু সেজদাহ ঠিক মতো আদায় করতে না পারেন,তাহলে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করবে।
এক্ষেত্রে কিরাআত পাঠের সময় দাঁড়াবে।
আর রুকু সেজদাহ বৈঠক ইত্যাদির সময় চেয়ারে বসবে।
রুকু ও সেজদাহ মাথা ঝুকিয়ে ইশারা করে আদায় করবে।