আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আমার বাবা আমাকে কথায় কথায় সুযোগ পেলে অভিশাপ দেয়।আমার মনে আছে আমি যখন ক্লাস ৯/১০ এ পড়ি, তখন সে মাগরিবের নামাজের সময় জায়নামাজ এ বসে প্রায় বলত "আল্লাহ তোর উপর গজব ফেলুক" এ ধরনের কথা শুনতে শুনতে আমি অতিষ্ট।লোকটা প্রচন্ড গীবত সমালোচনা করে।আমি ছোট বেলা থেকে তার সাথে যখন বাইরে যেতাম বেশির ভাগ সময় সে এমন কিছু করত যাতে আমার ঘৃনা বা ভয় তার প্রতি আরো বাড়ত।আমি একবার রিক্সা য় স্কুলে যাচ্ছিলাম,আমি আমার আইডি কার্ড টা ভুলে বাসায় ফেলে এসেছিলাম।সে আমাকে রিক্সার মধ্যে চড় থাপ্পড় মেরেছে। একদিন টিচারের বাসায় পড়তে যাই নি,সে বাসায় ফিরে আমাকে টেনে হিছড়ে খাট থেকে নামিয়ে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে গেছে। আমি প্রচুর মার খেয়েছি তার।চিৎকার চেচামেচি কম করি নি,শুনি নি।আমিও ধৈর্য্য না ধরতে পেরে কখনো গালাগালি করেছি,সামানে কিছু পেলে ঢিল দিয়েছি বা জিদ করে মারতে চেয়েছি।দু একবার জেদ করে তাে হাতে কিল ও দিয়েছি।আমার মা থামাতে আসলে জেদ করে তার গায়ে হাত তুলেছি।ধাক্কা বা কিল থাপ্পড় দিয়েছি।


আমি জানি আমি কখনো মা বাবার সাথে খারাপ আচরন করতে পারব না।গুনাহ হবে।কিন্তু আমাকে এটা বলবেন প্লিজ ওনারা যে আমার জীবনটা শেষ করে দিল এটা কিছু না?আমার মানসিক ট্রমা, অশান্তির কারন আমার বাবা।অথচ এ লোকটাকে আমি ভালবাসি।অথচ এ জঘন্য লোকটা আমার সাথে যাচ্ছে তাই আচরন করে।থাকার খোঁটা দেয়, খাওয়ার খোঁটা দেয়।


আমার মা নিজেও প্রচুর মার খেয়েছে আমার বাবার। এসব দেখে দেখে আমার ও অতিষ্ঠ হওয়ার জোগাড়। কিছু দিন পরপর আমার সাথে আজেবাজে কথা বলে।অভিশাপ দেয়। আমার নামাজ রোজা নিয়ে কথা বলে। আল্লাহ নাকি কিছু কবুল করবে না,আমার শাস্তি হচ্ছে দুনিয়ায়। আমি নাকি আত্নহত্যা করব।আমি জাহান্নামে যাব।

আল্লাহ যেন এ লোকটার মত বাবা কোন শত্রুকেও না দেন।আমি মেয়ে মানুষ। পর্দার কারনে জব সেক্টরে গেলাম না।বাসায় পড়ে পড়ে এ লোকটার অত্যাচার সহ্য করি। সব দোষ আমার।বাবা মার কোন দোষ নাই?তাদের কোন গুনাহ হবে না?

আমার মা জব করেন।সারাদিন কাজ করে বাসায় এসে তার সময় নেই।অথচ ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা হেসে কথা বলতে পারেন।মানুষ যদি একটা সন্তান কে সময়, ভালবাসা না দিতে পারে সন্তান জন্ম কেন দেয়?


আমার তো আল্লাহ কে খুব নিষ্ঠুর মনে হয় জানেন।আল্লাহ জেনেশুনে এমন জানোয়ার অর্থাৎ জীব জন্তু সুলভ মানুষের মধ্যে আমাকে পাঠিয়েছেন।আমাকে এরা সামাজিক হতে বলে।জানেন কাদের সাথে মিশতে বলে?সেসব মানুষ গুলোর বাসায় যারা মুখ খুললেই গীবত করে,অপমান করে।আমার এসবে দম বন্ধ হয়ে যায়। আমি কি করব বলেন।আমার সাথে কারো মন মানসিকতা মিলে না।


আত্নীয় স্বজন ও না,নিজের ঘরের মানুষ ও না।আল্লাহ জেনে শুনে এমন জায়গায় আমাকে কেন দিলেন।আমাকে সবার কাছে ছোট হয়ে থাকতে হয়।অপমান সহ্য করতে হয়। আল্লাহর উপর খুব রাগ হয় আমার।আমি কিছু করলেই জাহান্নামে যাব, আমল কবুল হবে না।তাহলে কি দরকার আমল ইবাদত করার।আল্লাহ তো কবুল ই করেন না।
by
Allah apnake tar deen theke bicchuto na koruk.apnake dhoirjo dhorar toufiq daan koruk.allah apnar jiboner baki ongshr jano eto niyamot daan koren jano apni apnar prothom jiboner shomosto koshto vule jan.allah apnake tar deener upor obichol rakhen.ameen

by (36 points)
Summa ameen,ameen,ameen

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা অন্যায়ভাবে কোনো সন্তানের উপর বদ-দুআ করলে সেই বদ-দুআর প্রভাব সন্তানের উপর পড়বে না। হ্যা, ন্যায়সংগত কোনো কারণে মাতাপিতা সন্তানের উপর রাগ করলে বা বদ-দুআ দিলে তখন সন্তানের উপর উক্ত বদ-দুআর প্রভাব পড়বে। সন্তানের কখনো ভালো হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...