আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম

শাইখ,আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো।

১.আজ গোসলের সময় আমার জামার নিচের অংশ ফ্লোরে লেগে গিয়েছিলো। ফ্লোর টা এইরকম যে,পানি শোষণ করতে পারে তবে মাটির মত পুরো টা না। ফ্লোরে সাধারণত বালু হয় না।টাইলসের মতই এইরকম ফ্লোর মোছা যায়।আশা করি বুঝতে পারবেন।কল থেকে কিছুটা দূরেই টয়লেটের অবস্থান।তো টয়লেটের আশপাশে যে পেশাবের ছিটা পড়ে থাকে তা তো নিশ্চিত ই আমি যেহেতু পরিবারের সদস্য রা পাক-নাপাকের বিষয়য়ে এতো টা সিরিয়াস না।তো, সকাল বেলা যখন সবাই টয়লেট ইউস করার পর কলে এসেছিলো ফ্রেস হতে,তাহলে তো নিশ্চিতভাবেই বলা যায় উনাদের পায়ে যে নাপাকী ছিল তা ওই ফ্লোরে লেগে গিয়েছিলো (আমি একেবারেই সুনিশ্চিত!)। আমি সম্ভবত সাড়ে ১২ টার কিছুক্ষন আগে ওইখানে গোসল করতে গিয়েছিলাম।কিন্তু, আমি জানি সকাল থেকে এই পর্যন্ত যত পানি ব্যাবহার করা হয়েছে তা দিয়ে ওই ফ্লোর পবিত্র হয়েছে কি না।বলে রাখা ভালো, কল থেকে যেই জায়গাটায় পানি পড়ে ওই জায়গার একটু পিছনেই সবাই দাঁড়িয়ে ফ্রেশ হয়েছিলো বেশিরভাগ ই।আমি এও জানি না যে,সকালে ফ্রেশ হওয়ার পর আর কেউ ওইখানে গিয়েছে কি না।মোদ্দকথা, আমি ঠিক ১০০℅ শিওর না যে ওইখানের নাপাক আদো পুরোপুরি গিয়েছে কি না।আরেকটা কথা বলে রাখি,আমার জামার খুবই সল্প অংশ ওই ফ্লোরে লেগেছিলো। (বিঃদ্রঃবর্তমানে ঘরে অনেক মানুষ সেই হিসাবে পানিও অনেক ব্যাবহার করা হয়েছে)প্রচুর মানষিক অশান্তি রয়েছি।এই নিয়ে আমার যে কতটা সময় অপচয় হয়েছে আল্লাহ ই ভালো জানে।


২.গোসল করতে গেলে নাপাক জায়গায় ধোয়ার পানিটা ফ্লোরে পড়ে।শরীর অন্যান্য অংশে বালতিতেও পড়ে।এই,পানি কি নাপাক?


৩.যেই সম্পদ কারোর ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন নয়,সমষ্টিগত। এবং,সেই সম্পদ যার তত্তাবধানে রাখা হয়েছে আমি যদি শুধু তার অনুমতি নিয়ে উক্ত সম্পদ ব্যাবহার করি তাহলে আমার জন্য কি তা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি নিজেও পেরেশান।আমাদেরকেও পেরেশানিতে ফেলে দিয়েছেন। আপনার ওয়াসওয়াসা দূর হওয়ার একটিমাত্র রাস্তাই যে, আপনি হয়তো এই কল ব্যবহার পরিত্যাগ করবেন।নতুবা আপনি সমস্ত কলকে ধৌত করে নিজে গোসল ইত্যাদি করবেন।

তবে ধৌত না করে অজু গোসল করলে, এবং পানির ছিটা আপনার শরীরে লাগলে আপনার শরীর নাপাক হবে না।

(২)
যেই সম্পদ কারো ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন নয়, বরং সমষ্টিগত। সেই সম্পদ যার তত্তাবধানে রাখা হয়েছে, আপনি যদি শুধু তার অনুমতি নিয়েই উক্ত সম্পদ ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনার জন্য তা নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
শাইখ,আমি যে কালকে পুরোপুরি ভাবে নাপাক না ধরেই নামায আদায় করেছি!আমার নামায কি আবার পড়তে হবে?
আর,আপনি যে বলেছেন ধোত না করেও অজু গোসল করলে পানির ছিটা পড়লে তা নাপাক হবে না,আমার ক্ষেত্রে কি এই মাসায়ালাটা জরুরতের ভিত্তিতেই প্রযোজ্য? 
by (715,680 points)
জ্বী, জরুরতের বিত্তিতেই প্রযোজ্য। নতুবা জীবন চলাচল মুশকিল হয়ে যাবো 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...