বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
কিছু শর্ত সাপেক্ষ্যে সম্মিলিত ভাবে যিকির জায়েয। তবে আল্লাহর যিকিরকে হাতিয়ার বানানো না-জায়েয। সে হিসেবে আমরা বলবো যে, ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য বা চা খাওয়ার সময়ে টাইম পাসের জন্য সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, দ্বারা যিকির করা জায়েয হবে না। নামাযের পর উচ্ছস্বরে যিকির, বা ঘুনঘুনিয়ে যিকির কিংবা ফজরের পর উচ্ছস্বরে কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি জায়েয। তবে লোকজনের কষ্ট যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরী।
(খ)
এভাবে মোরাকাবার মাধ্যমে কথা বলা সম্পূর্ণ অসম্ভব। এরকম আকিদা পোষণ করা মারাত্বক পর্যায়ের কুফরি।
(গ)
মাদখালী দের আকিদা বিশ্বাস জানা নেই। ওদের আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে জানার নির্ভর্যোগ্য কোনো সূত্র আমাদের নিকট নেই।
(ঘ)
তাবলীগ জামাতের কাজ দুনিয়ার সর্বত্রই চলছে।কোন জায়গায় বেশী কোন জায়গায় কম? সে সম্পর্কে জানতে কোনো সার্ভে কম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন।
(ঙ)
আপনার প্রশ্নের জবাব নিম্নোক্ত আয়াতে পাবেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রা'দ-১১)
কিছু রিজিককে আল্লাহ তা'আলা মানুষের চেষ্টা প্রচেষ্টার উপর মওকুফ করে দিয়েছেন। সুতরাং মানুষ চেষ্টা করলে সেই অতিরিক্ত রিযিক পাবে। আর চেষ্টা না করলে সাধারণ রিযিক যা তার নামে লিপিবদ্ধ, সে তাই পাবে।