আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
287 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) আওয়াজ করে যিকর কেন বিদাত?
অনেকে বলে চরমোনাই, ফুরফুরা, ছারছীনা সবাই বিদাতে রয়েছে এই কারণে

খ) মৃত পীরদের সাথে মোরাকাবা বা অন্য কোনভাবে ধ্যানের সাহায্যে কথাবার্তা বলা সম্ভব কিভাবে? অনেকে বলে এইটা শিরক। আমি আসলে কোনটা শিরকি নিয়ম আর কোনটা হক নিয়ম তা জানতে চাই

গ) ওহাবীদের মত মাদখালীরাও কি ওলি আউলিয়াদের কারামতি ও ফায়েয অস্বীকার করে?

ঘ) তাবলীগ জামাতের মেহনত পুরো দুনিয়াতে কেমন চলে? পৃথিবীর কোন জায়গায় কম আর কোন জায়গায় বেশি? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হতাম। অনেকেই এইটা সম্বন্ধে উৎসুক।

ঙ) যে রিযিক পাবো তা যদি পাই-ই তবে চেষ্টা কেন? এক ঘটনা পড়েছিলাম যে কিছু যুবক রিযিক খোঁজা বাদ দিয়ে আল্লাহর ধ্যানে ছিলো। পরে সবাই মারা যায়। এইটা আলেম বলেছেন জায়েয ও উত্তম। এমনকি বিয়ের খায়েশ না জাগলে বিয়ে না করাও জায়েয। এই সাধনাগুলো কাদের দ্বারা সম্ভব আর কিভাবে সম্ভব? আমরা সবাই-ই তো দুনিয়া দুনিয়া করতে করতে অস্থির। সময়ই নাই এইসব নিয়ে ভাবার, আল্লাহকে পাওয়ার জন্য দুনিয়া ছাড়ার।
closed

1 Answer

+2 votes
by (598,650 points)
edited by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
https://www.ifatwa.info/11519 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কিছু শর্ত সাপেক্ষ্যে সম্মিলিত ভাবে যিকির জায়েয। তবে আল্লাহর যিকিরকে হাতিয়ার বানানো না-জায়েয। সে হিসেবে আমরা বলবো যে, ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য বা চা খাওয়ার সময়ে টাইম পাসের জন্য সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, দ্বারা যিকির করা জায়েয হবে না। নামাযের পর উচ্ছস্বরে যিকির, বা ঘুনঘুনিয়ে যিকির কিংবা ফজরের পর উচ্ছস্বরে কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি জায়েয। তবে লোকজনের কষ্ট যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরী। 


(খ)
এভাবে মোরাকাবার মাধ্যমে কথা বলা সম্পূর্ণ অসম্ভব। এরকম আকিদা পোষণ করা মারাত্বক পর্যায়ের কুফরি।

(গ)
মাদখালী দের আকিদা বিশ্বাস জানা নেই। ওদের আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে জানার নির্ভর্যোগ্য কোনো সূত্র আমাদের নিকট নেই।


(ঘ)
তাবলীগ জামাতের কাজ দুনিয়ার সর্বত্রই চলছে।কোন জায়গায় বেশী কোন জায়গায় কম? সে সম্পর্কে জানতে কোনো সার্ভে কম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন।

(ঙ)
আপনার প্রশ্নের জবাব নিম্নোক্ত আয়াতে পাবেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রা'দ-১১)

কিছু রিজিককে আল্লাহ তা'আলা মানুষের চেষ্টা প্রচেষ্টার উপর মওকুফ করে দিয়েছেন। সুতরাং মানুষ চেষ্টা করলে সেই অতিরিক্ত রিযিক পাবে। আর চেষ্টা না করলে সাধারণ রিযিক যা তার নামে লিপিবদ্ধ, সে তাই পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (598,650 points)
মুহতারাম,আপনি কল দিবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...