আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সাওম (Fasting) by (66 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম,
১.আজ ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয় ৩ঃ৪৬ মিনিটে।খেতে খেতে সময় ভুলে গিয়েছিলাম। তারপর দেখি ৩ঃ৪৯ বাজে। মুখে যে খাবার ছিলো সেগুলো ফেলে দিয়ে কুলি করে ফেলি। আমি নফল রোজার রাখতে চেয়েছিলাম। এখন আমি কি রোজা রাখতে পারবো? নাকি আমার রোজা টা হবে না?
২।অনেক সময় হিজাব নিকাবের কানের পাশ দিয়ে চুল বের হয়ে যায় অজান্তেই। বাসার বাহিরে  যদি এমন ১/২ টা চুল নিকাবের বাহিরে বের হয়ে থাকে তাহলে কি গুনাহ হবে?
৩.যোহরের নামাজ পড়তে পড়তে ৪ মিনিট পার হয়ে আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে সে নামাজ কি কাজা করতে হবে?
৪.এশার ফরজ নামাজের শেষ বৈঠকে দরূদ শরীফ পড়ার পর আল্লহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কবর এটা পড়তে গিয়ে ; ভুল করে ভেবেছি যে এটা বৈঠকে পড়তে হয়না,যতটুকু পড়েছি সেখানে থেমে  সালাম ফিরিয়ে নিয়েছি তখনি।পুরা দোয়া পড়িনি।
পরে মনে হয়েছে যে - না, দোয়া তো পড়া যায় দরূদ শরীফের পর।
আসলে পিরিয়ডের জন্য নামাজ কিছু দিন না পড়ার কারনে গুলিয়ে ফেলেছিলাম
পরে এশার দুই রাকাআত নামাজ শেষে সাহু সিজদা দিয়ে নিয়েছি।
বিতরের নামাজ বাকি রেখে।কারন,বিতরের নামাজ তো এশার নামাজের অন্তর্ভুক্ত না।
আমার এশার নামাজ কি হয়েছে নাকি আবার পড়তে হবে?
৫.ফজরের ২ রাকাত সুন্নাত শেষে, ২ রাকাত ফরজ আদায়ের শুরুতে  সানা পড়লে কি গুনাহ হবে?
৬.এশার নামাজে তাশাহুদ পড়ার পর দরুদ শরীফ পড়ার সময় অযূ ভেঙে যায় ,তারপর আমি বাকি নামাজ টা পড়িনি।আমার কি এই নামাজ হয়েছে নাকি কাজা করতে হবে?
৭.ফজরের নামাজ পড়া শেষ করে দেখি ২ মিনিট আগে ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেছে। নামাজ টা কি আবার কাজা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (714,120 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রোযা হবে না।

(২)
না, গোনাহ হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত চুল বের করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

(৩)
নামায হয়ে যাবে।কাযা করতে হবে না।

(৪)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।নামায বিশুদ্ধই থাকবে।

(৫)
না,গোনাহ হবে না।বরং ফরযের পূর্বেও ছানা পড়তে হবে।

(৬)
নামাযের মধ্যে তাশহুদ যেভাবে ওয়াজিব ঠিকতেমনি দুনু সালাম ওয়াজিব। সুতরাং সালাম ফিরানোর পূর্বে কারো অজু চলে গেলে সে অজু করে এসে আবার সালাম ফিরাবে। তবে যেহেতু এক বর্ণনায় তাশাহুদ পর্যন্ত নামাযকে পূর্ণ নামায বলা হয়েছে , তাই হানাফি কিছু কিছু কিতাবে সালামের পূর্বে অজু চলে গেলে নামাযকে পূর্ণ হয়েছে, বলা হয়েছে।  কিতাবুল ফাতাওয়া-২/১৮৯) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13360

(৭)
https://www.ifatwa.info/471 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফজরের নামাযে এক রা'কাত পড়ার পর সূর্যোদয় হয়ে গেলে ঐ দিনের ফজরের নামায কি হবে? ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামায হয়ে যাবে। তবে হানাফি মাযহাব মতে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

ইমাম সারখাসী রাহ ফজর আর আসরের এই বৈপরীত্য সম্পর্কে বলেনঃ
والفرق بينهما عندنا أن بالغروب يدخل وقت الفرض فلا يكون منافيا للفرض وبالطلوع لا يدخل وقت الفرض فكان مفسدا للفرض كخروج وقت الجمعة في خلالها مفسد للجمعة؛ لأنه لا يدخل وقت مثلها، ،
বঙ্গানুবাদঃ-ফজর আর আছরের মধ্যে পার্থক্য হল,যে সূর্যাস্তের মাধ্যমে ভিন্ন এক ফরয নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে,সুতরাং তা কোনো ফরয নামাযের খেলাফ বা বিরোধী হবে না।আর সূর্যোদয়ের মাধ্যমে ভিন্ন কোনো নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে না।বিধায় সূর্যোদয়ের পর কোনো ফরয শুদ্ধ হবে না।বরং ফাসিদ হয়ে যাবে।যেমন জুমআর নামাযের সময় ওয়াক্ত চলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন কোনো ভিন্ন নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে না। (শেষ) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/6561


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 75 views
0 votes
1 answer 93 views
...