আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in সাওম (Fasting) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বার-কাতুহ।
ওস্তাদজী,
১.রমাদানের কাযা রোজা রাখা অবস্থায় কেউ যদি হস্তমৈথুন করে এবং এর ফলে বীর্যপাত হয় তাহলে কি তার রোজা ভেঙে যাবে?

যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে তার করনীয় কি? সে পুনরায় কাযা আদায় করবে নাকি কাফফারা সহ কাযা আদায় করতে হবে।

২.কারো কামবাসনা এত বেশি যে মাসে কয়েকবার হস্তমৈথুন হয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।সামান্য বুকে হাত লাগলেও বীর্যপাত হয়ে যায়।বিয়ের চেষ্টা করছে কিন্তু বিযে হচ্ছে না আর রোজা রেখেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।এক্ষেত্রে তার করনীয় কি? হস্তমৈথুনের কারণে কি তার গুনাহ হবে?

৩.কেউ যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে হস্তমৈথুন করে এবং সে অনুতপ্ত হয় তওবা করে। কিন্তু পুনরায় আবার হস্তমৈথুন করে ফেলে এবং আবার তওবা করে। সে সত্যি অনুতপ্ত, তওবাকারি কিন্তু কিছুতেই সেসময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।এক্ষেত্রে তার করনীয় কি? তার কি গুনাহ হবে এভাবে হস্তমৈথুন করলে।


৪.এক বোনের ৬/৭বছরের নামায কাযা হয়েছে(হেদায়াতের আগে)। এখন অসুস্থতা ও ব্যস্ততার কারণে কাযা আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।এক্ষেত্রে কি কাফফারা দিলে হবে নাকি কাযা আদায় করতে হবে।বোনটা অসুস্থতার জন্য ফরজ সালাতই ঠিকমতো পড়তে পারেনা।

1 Answer

0 votes
by (712,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হস্তমৈথুনের দ্বারা বীর্যপাত হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত রোযার কাযা আদায় করা আবশ্যক।  তবে এজন্য উক্ত রোযার কাফফারা দিতে হবে না।
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475،
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ. وَإِذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ بِيَدِ امْرَأَتِهِ فَأَنْزَلَ فَسَدَ صَوْمُهُ كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
وَلَوْ جُومِعَتْ النَّائِمَةُ أَوْ الْمَجْنُونَةُ جُنُونًا عَارِضِيًّا بَعْدَ نِيَّتِهَا حَالَةَ الْإِفَاقَةِ يَفْسُدُ صَوْمُهَا عِنْدَ الثَّلَاثَةِ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
فَإِنْ عَمِلَتْ امْرَأَتَانِ بِالسِّحَاقِ إنْ أَنْزَلَتَا أَفْطَرَتَا، وَإِلَّا فَلَا كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ، وَلَا كَفَّارَةَ مَعَ الْإِنْزَالِ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 205)

(২)
তার জন্য ফরয হল,সে তাৎক্ষণিক হস্তমৈথুনকে ছেড়ে দিবে।এবং জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সে তাৎক্ষণিক বিয়ে করে নেবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4425

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)

যদি পরিবার বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের বিনাঅনুমতিতে বিয়ে করে নেবে।এমনকি তখন তাদের বিনা অনুমতিতেই বিয়ে করা জরুরী।

হস্তমৈথুনের বদ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণের জন্য সর্বদা অন্যর সামনে বা জনসম্মুখ থাকবেন।কখনো একা থাকবেন না।নির্জনে সময় অতিবাহিত করবেন না।বিশেষকরে কোনো নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ গ্রহণ করবে।

(৩)
শত অনিচ্ছাসত্ত্বেও হয়ে গেলে যদি সে বিয়ের আপ্রাণ চেষ্টা করে, তাহলে হয়তো তাকে ক্ষমা করা হবে।

(৪)
জীবদ্দশায় নামাযের কাফফারা আদায় করা যায় না বরং তাকে কা'যা আদায় করতেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,280 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 73 views
...