আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
আজকাল ঠোঁটে কালো দাগ দূর করার জন্য, বা জন্মগত কালো ঠোঁট গোলাপি করার জন্য পার্লারগুলোতে ট্যাটু করা হচ্ছে। এটা কি জায়েজ? যদি এখানে হারাম জিনিস ব্যবহার না করা হয়?
অমুসলিম নারিদের সামনে মহিলাদের সতর কতটুকু?
কয়বার বুকের দুধ পান করলে দুধমা বলা যাবে?

ডিভোর্সের পর সেই স্বামী আর শশুর কি মাহরাম থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (680,160 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

   
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
  
أنه لعن الْوَاصِلَةِ وَالْمُسْتَوْصِلَةِ وَالْوَاشِمَةِ وَالْمُسْتَوْشِمَةِ

‘‘যে ব্যক্তি নিজে পরচুলা লাগায় এবং যে অন্যের কাছে লাগিয়ে নেয় এবং যে নিজে উল্কি আঁকে এবং উল্কি লাগিয়ে নেয় আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন।’’ (সহিহুল বুখারী, পোশাক অধ্যায়, হাদিস নং ৫৪৭৭)

ট্যাটু আঁকা হয়। মূলত: শরীরে দু ভাবে তা করা হয়। যথা:
১) স্থায়ী ট্যাটু:
বিদ্যুৎচালিত একটি যন্ত্রের সাহায্যে তা করা হয়৷ দেখতে তা অনেকটা ডেন্টিস্ট এর ড্রিল মেশিনের মত যা দিয়ে দাঁতের চিকিৎসা করানো হয়৷ মেশিনের মাথায় রয়েছে অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সুঁই৷ এই সুঁইটির মাথায় রঙ লাগানো থাকে৷ প্রতিবার সুঁইটি যখন চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় সেই সঙ্গে রঙও ভেতরে প্রবেশ করে৷ রঙের পরিমাণ এক মিলিলিটারেরও কম৷ চামড়ার যে স্তরে রঙটি লাগানো হয় তার নাম ডের্মিস৷ এই স্তরে যে কোন রঙ ঢোকাতে পারলে তা সারাজীবন দেখা যাবে৷ 

এ ক্ষেত্রে শরীরের যে স্থানে ট্যাটু করা হয় সেখানে রক্ত জমাট বাধে-যা নাপাক এবং রক্তের সাথে বিভিন্ন রঙ কেমিক্যাল, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি মিশ্রণের ফলে সেখানে চামড়ার উপর একটা আস্তরণ তৈরি হয়। যার কারণে ওজু-গোসলের সময় চামড়া পানি পৌঁছে না।
তাই ট্যাটু কৃত স্থানটা নাপাক হওয়ার পাশাপাশি ওজু-গোসলের সময় সেখানে পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে এ অবস্থায় ওজু-গোসল শুদ্ধ হবে না।ফলশ্রুতিতে সালাতও শুদ্ধ হবে না।

২) অস্থায়ী ট্যাটু:
স্থায়ী ট্যাটুর বিকল্প হিসেবে অনেকে অস্থায়ী ট্যাটু ব্যবহার করে। এটি দু ধরণের। 

যথা:
 ক. এয়ারব্রাশ ট্যাটু:
তুলির সাহায্যে রঙ দিয়ে শরীরে ট্যাটু আঁকা হয়। এটি দু তিন মাসের মধ্যে শরীর থেকে আপনা আপনি মুছে যায়। এ কারণে এটিকে এয়ারব্রাশ ট্যাটু বলে।

 খ.স্টিকার ট্যাটু:

ট্যাটুর স্টিকার শরীরের পছন্দ মত জায়গায় বসিয়ে ট্যাটু করা হয়। অবশ্য অস্থায়ী ট্যাটুকে পাশ্চাত্য সভ্যতায় ঠিক ট্যাটু বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
ইসলামের দৃষ্টিতেও এগুলো হাদিসে নিষিদ্ধ প্রকৃত উল্কি বা ট্যাটু না হলেও অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বনের কারণে তা ব্যবহার করা হারাম।

যাহোক, যদি কেবল তুলির রঙ ব্যবহার করে শরীরে ট্যাটু আঁকানো হয় আর তাতে চামড়ার উপর প্রলেপ না পড়ে তাহলে তাতে ওজু-গোসল শুদ্ধ হবে। 
আর শক্ত আঠা দিয়ে শরীরে স্টিকার লাগানো হলে তার ভেতর দিয়ে কখনোই চামড়ায় পানি পৌছবে না। সুতরাং এই অবস্থায় অজু গোসলও শুদ্ধ হবে না। 
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ঠোঁট গোলাপি করার জন্য পার্লারগুলোতে ট্যাটু করা হচ্ছে। এটা জায়েজ নয়।

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।
শরীয়তের বিধান হলো যদি এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক ফোটা দুধ বা তার চেয়েও কম দুধ বাচ্চার পেটে চলে যায়,তাহলেই মাহরাম হয়ে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৪)
না,মাহরাম থাকবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...