হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ جَابِرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَنْتَعِلَ الرَّجُلُ قَائِمًا . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ৪১৩৫, ইবনু মাজাহ ৩৬১৮-৩৬১৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৭১৯, তিরমিযী ১৭৭৫, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৩০৭৭, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ২০২১৮, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৪৯৩৬, শু‘আবুল ঈমান ৬২৭৩
ব্যাখ্যাঃ
تحفة الأحوذي بشرح جامع الترمذي
( وهو قائم ) جملة حالية قال الخطابي إنما نهى عن لبس النعل قائما لأن لبسها قاعدا أسهل عليه يزال له وربما كان ذلك سببا لانقلابه إذا لبسها قائما . فأمر بالقعود له والاستعانة باليد فيه ليأمن غائلته . وقال المظهر : هذا فيما يلحقه التعب في لبسه كالخف والنعال التي تحتاج إلى شد شراكها
সারমর্মঃ
‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে জুতা পড়তে নিষেধ করেছেন । এর কারণ হলো, বসে জুতা পরিধান করা অনেক সহজ। অন্যদিকে দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করা উল্টে পড়ে যাওয়ার কারণও হতে পারে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে জুতা পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নিরাপদে তা পরিধানে হাতের সাহায্য গ্রহণ করা যায়। আল্লাহ অধিক জানেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১৩১)
حاشية السندي على ابن ماجه
قوله ( قائما ) قيل أي في الصلاة وقيل مخصوص بما إذا لحقه مشقة في لبسه قائما كالخف والنعال المحتاجة إلى شد شراكها .
কেহ কেহ বলেছেন যে এই নিষেধাজ্ঞা নামাজের ভিতরে।
কেহ কেহ বলেছেন যে এই নিষেধাজ্ঞা ঐ সময়ের সাথে নির্দিষ্ট,যখন দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করতে কষ্ট হয় যেমনঃ মোজা, ঐ সমস্ত জুতা,যেগুলোর ফিতা বাধতে হয়।
ফিতা,বেল্ট যুক্ত জুতা,যেগুলো এমনিতেই দাড়িয়ে পরিধান করা কষ্টকর,সেগুলোর ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে।