আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
edited by
http://ifatwa.info/45194/প্রশ্নটির উত্তরে বলা হয়েছে যে আপনি বাড়ির সবকিছুকে পাক হিসেবে ধরবেন। বাড়ির কোনো কিছুই নাপাক হয়নি। আবার উক্ত উত্তরের শেষে বলা হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে নামাজ পরবেন সেগুলো পবিত্র করে নিবেন।বিষয়টা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।এখানে তো সবকিছুকে পাক ধরতে বলা হয়েছে।তাছাড়া তো আর উপায়ও নেই।

হুজুর আমি আগেই বলেছি যে আমার প্রায় সকল কাপড় চোপড়, জায়নামাজ সবকিছুই নাপাক হয়ে গেছে। এমনকি বাড়ির বিছানার চাদর,  কাথা, পর্দা, সোফা, গামছা , চেয়ার , টেডিল, থালাবাসন, জগ, গ্লাস, বালতি , মগ, বেসিন, পাপোশ এক কথায় ব্যবহার করার প্রায় সবকিছুই নাপাক হয়ে গেছে। আর আমার শরীর বেশিরভাগ সময়ই ভেজা থাকে। তাই আমি ঐ অবস্থাতে যদি বিছানায় শুই, বা সোফায় বসি, বা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় পর্দার সাথে আমার শরীর বা কাপড় স্পর্শ হয়, তাহলে তো আবার আমার শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। আবার পরিবারের অন্য সবারও কাপড় নাপাক।  তাদের সাথেই আমাকে সারাদিন থাকতে হয়। তাদের শরীর বা কাপড়ের সাথে আমার ভেজা কাপড় স্পর্শ হলে তো আবার আমার কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। এভাবে তো পৃথিবীতে বেঁচে থাকাই কষ্টসাধ্য।  এখন ধুতে গেলে তো সম্পূর্ণ বাড়ির প্রায় সবকিছুকেই ধৌত করতে হবে। এতো কিছু তো আর ধোয়া possible না। আমার বাড়ির প্রায় সবকিছুই নাপাক।
নামাজ পরার জন্য কাপড়গুলো কী ধোয়া বাধ্যতামূলক? এতো কাপড় ধুতে গেলে তো সারাদিন আমাকে কাপড় ধোয়ার পেছনেই সময় দিতে হবে। এতো কিছু তো ধোয়া সম্ভব নয়  ইসলাম অনেক সহজ একটি ধর্ম।  আর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল।  তিনি তো তার বান্দাদের উপর কোনো কিছুই চাপিয়ে দেন না।

এখন কী আমি তাহলে সবগুলো কাপড়কে পাক ধরব? আমি তো এই পাঁচদিন সবকিছুকে পাক ধরেই সালাত আদায় করেছি। তাই ভবিষ্যতে আর এরকম না করার ভিত্তিতে কী আমি বাড়ির সবকিছু, সব কাপড়, সব জিনিসপত্র যেগুলোকে ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃত হোক নাপাক করে ফেলেছি, সেগুলো সবকিছুকে কী পাক ধরতে পারি? যেহেতু এখানে সময়ের সাথে সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম দেকে সরে এসে সবকিছুকে পাক ধরার কথা বলা হয়েছে।

আমি তো সবসময়ই পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করি। এখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি নিয়মিত সাইকেল এর কাছে কাউন্সিলিং করাচ্ছি। আমার মাথায় সারাদিন সারাক্ষণ এসব চিন্তা ঘুরে। খুব পেরেশানিতে আছি।

তাই আমি ভবিষ্যতে এহেন না করার ভিত্তিতে কী সবকিছুকে পাক ধরব? এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না।


দয়া করে http://ifatwa.info/45194/নং প্রশ্নটি সহ পুরোটা পরবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِلَّا مَا اضۡطُرِرۡتُمۡ اِلَیۡہِ
তবে তোমরা নিরুপায় হলে তা স্বতন্ত্র।
(সুরা আনআম ১১৯)

https://ifatwa.info/45194/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
যেহেতু প্রস্রাবের ছিটা আপনার শরীর বা হাতে লাগার পর আপনি ঐ হাত দ্বারা টেপ বদনা ইত্যাদি ধরেছেন, তাই সাধারণ নিয়মানুযায়ী আপনার হাত শরীর বদনা টেপ ইত্যাদি সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দোখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা বলবো,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।

ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
পূর্বের ফতোয়াতে বলা হয়েছেঃ
প্রশ্নে উল্লেখিত সব কিছুই নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।  
তবে ফুকাহায়ে কেরামগন ভবিষ্যতে আর এহেন না করার শর্তে প্রয়োজনের ভিত্তিতে অপবিত্র না হওয়ার ফতোয়া প্রদান করেছেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় গুলোর মধ্যে যেগুলো নামাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন,সেগুলো পবিত্র করার পরামর্শ রইলো। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিশেষ প্রয়োজন বশত আপনার উক্ত কাপড় গুলো অপবিত্র না হওয়ার ফতোয়া প্রদান করেছেন। 
যদিও নিয়ম অনুপাতে প্রশ্নে উল্লেখিত  আপনার সমস্ত কাপড় নাপাক হয়ে যাওয়ারই কথা।

সুতরাং এখানে পরামর্শ স্বরুপ একটি কথা অতিরিক্ত করা হয়েছে যেঃ 
নামাজের ক্ষেত্রে যেই কাপড় গুলো আপনি ব্যবহার করবেন,সেগুলো পাক করে নিবেন।
যাতে নামাজের শুদ্ধতার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না থাকে।
বাকি বস্তু গুলো তো নামাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেননা,তাই সেগুলো নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করতে হবেনা। 

এটি আপনার প্রতি পরামর্শ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
আচ্ছা জামাকাপড়গুলো না ধুলে কী কোনো সমস্যা হবে? এতোগুলো কাপড় ধুতে ধুতে তো সারাদিন লেগে যাবে। এতোগুলো কাপড় তো ধোয়া সম্ভব না।
আমি কী এই কাপড় গূলোকে না ধুয়ে নামাড পরলে নামাজ হবে না?
আমি তো সবকিছুই পাক বিবেচনা করে ব্যবহার করছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...