ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(১.২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বপ্নদোষ হলো প্রাকৃতিক চাহিদা,মানবীয় চাহিদা।
,
স্বপ্নের মাধ্যমে যৌন উত্তেজনামুলক কিছু দেখলে বা করলে বীর্যপাত হয়। আর তাকেই বলে স্বপ্নদোষ। যদিও তা দোষনীয় নয়, যদি তা বেশী আকারে না হয়। দোষের হয় তখনি, যখন মাসে ৪ থেকে ৫ বারের অধিক হতে থাকে। আর তখনই প্রয়োজন হয় চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক প্রতিব্যবস্থার। অতএব স্বাভাবিকভাবে স্বপ্নদোষ হওয়াতে যুবকের ঘাবড়াবার কিছু নেই। এতে কোন ক্ষতি আছে, এমন ধারণা করে চিন্তিত হওয়ারও কোন কারণ নেই। বীর্য বেশী হলে তা তরল হয়ে। স্থলন হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অতএব স্বপ্নদোষে বীর্যক্ষয় হয়ে সে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এমন দুশ্চিন্তা মনে এনে নিজেকে দুর্বল করা ঠিক নয়। অবশ্য অতিরিক্ত মাত্রায় হলে চিন্তার কারণ বটে।
,
এটি পুরুষ মহিলা উভয়েরই হয়।
হযরত উম্মে সালমা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ )
তিনি বলেন,হযরত আবু তালহা রাযি এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! নিশ্চয় আল্লাহ হককে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না,মহিলার উপর কি গোসল ফরয হবে, যখন মহিলার স্বপ্নদোষ হবে?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হ্যা মহিলার উপরও গোসল ফরয হবে,যখন মহিলা পানিকে দেখবে।(সহীহ বোখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম-৪৭১)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
স্বপ্নদোষ হলো প্রাকৃতিক চাহিদা,মানবীয় চাহিদা।
তা দোষনীয় নয়।
জানা মতে স্থায়ীভাবে সপ্নদোষ বন্ধ করা যায়না।
এমনটি কোনোভাবে করা গেলে তাহা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে।
তবে বিবাহ করে সপ্তাহে নুন্যতম ২/১ বার স্ত্রী সহবাস করলে আর স্বপ্নদোষ হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
আপনার যে প্রতিমাসে ২-৩ বার সপ্নদোষ হয়ে থাকে,এটি স্বাভাবিক।
এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
(০৩)
হ্যাঁ তাদেরও স্বপ্নদোষ হয়।
তবে যারা বিবাহিত, নিয়মিত স্ত্রী সহবাস করে তাদের স্বপ্নদোষ হয়না।
স্বপ্নদোষ শুধু খারাপ চিন্তা- ভাবনার কারনেই হয়না।
বরং স্বাভাবিক ভাবে এমনিতেও হয়।
শরীরে বীর্য বেশী হয়ে জমা হয়ে গেলে তা বের হয়ে যাবে। স্থলন হবে এটাই নিয়ম।