ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।
সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি হানাফি ঘরে জন্ম নিছেন, এজন্য যে আপনাকে হানাফি হতেই হবে, বিষটা মূলত এমন নয়, বরং আপনি জেনে বুঝে যে কোনো মাযহাব কে ফলো করতে পারেন। আবার কিছূ কোনো মাযহাবের উপর আ’মল করার পর ভিন্ন মাযহাব আপনার নিকট কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী মনে হলে আপনি সেই মাযহাবকেও ফলো করতে পারেন। এতে শরীয়তের পক্ষ্য থেকে কোনো বিধি-নিষেধ নাই। তবে প্রবৃত্তির অনুসরণ না হওয়াই কাম্য ।নিজের সুযোগ সুবিধা দেখে কোনো মাযহাবকে গ্রহণ করা যাবে না। বরং কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তীতা দেখেই মাযহাব অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি সকল মাসআলায় হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে আপনাকে কুরআন তিলাওয়াতেও হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করতে হবে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উপরের মূলনীতি জেনে নিলে, এভাবে বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।
(১)
আপনি যে মাযহাবকে ফলো করে চলেন,বা অতীত থেকে ফলো করে আসছেন,সেই মাযহাবের আলেমের ওয়াজ শুনবেন।সেই মাযহাবের আলোকেই জীবন পরিচালনা করবেন। ভিন্ন মাযহাবের অনুসারী বা মুজতাহিদে মুতলাক(তথা নিজে ইজতেহাদ করে হুকুম বর্ণনাকারী) এর অনুসরণ করবেন না। উনার বক্তব্যও শুনবেন না।
শায়খ আহমাদুল্লাহ।উনি বিজ্ঞ আলেম।তবে উনি কাউকে অনুসরণ করেননা।বরং নিজে ইজতেহাদ করে ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি হানাফি মাযহাবকে ফলো করে থাবেন, তাহলে উনার ফাতাওয়াকে গ্রহণ করবেন না।
(২)
যে কোনো একটি মাযহাকে গ্রহণ করতেই হবে। সেই মাযহাবের আলোকে যে ফাতাওয়া আসবে,সেই ফাতাওয়াকেই মানতে হবে।
(৩)
এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আমাদের জানা নেই।
(৪)
কারো গোনাহ হবে না।মুফতি সাহেবেরও গোনাহ হবে না।এবং ফাতাওয়া জিজ্ঞাসাকারীরও কোনো গোনাহ হবে না।
(৫)
না, তালাক হবে না।
(৬)
এভাবে বললে তালাক হবে কি না? সেটা জানা নেই।
স্থানীয় কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।অযথা ফালতু প্রশ্ন এখানে করবেন না।
(৭)
স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে বা অস্বীকার করলে তালাক হবে না।
(৮)
তার জন্য দ্বিতীয় জনের নিকট প্রশ্ন করা জায়েয হয়নি।যেহেতু সে প্রথম থেকেই প্রথম জনকে বিশ্বাস করে।সুতরাং সে তাৎক্ষণিক তাওবাহ করে প্রথম জনের ফাতাওয়াকে গ্রহণ করে নিবে।প্রথমজন ভুল বললেও উক্ত মুফতি সাহেবের কোনো গোনাহ হবে না।এবং ফাতাওয়া জিজ্ঞাসাকারীরও কোনো গোনাহ হবে না।
(৯)
কাল্পনিক প্রশ্নের জবাব দেয়ার মোটেই ইচ্ছা হয় না। কেননা এটা ফাতাওয়া সাইট।এখানে বাস্তবিক সমস্যা আসবে,এবং তার জবাব দেয়া হবে।কাল্পনিক প্রশ্নকে আমরা অযথা প্রশ্ন হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।
যাইহোক,
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।এটা সম্ভবত হাজার বার আমরা সাইটে লিখে দিয়েছি।
(১০)
তালাক হবে না।
(১১)
আপনি প্রশ্নটিকে একবার পড়ে দেখুনতো আপনি কি কিছু বুঝেছেন?
পড়ে তারপর ইডিট করে দিবেন।নতুনকরে কোনো প্রশ্ন করবেন না।বরং ইডিট করে দিবেন।
(১২)
তালাক হবে না।