আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
241 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।ধরেন কেউ শায়খ আহমদওল্লাহ সাহেবের ওয়াজ দেখেন ও সেসব মানেন।কিন্তুু ওনার সাথে তহ যোগাযোগ করা সম্ভব না।তাই পারসোনাল কিছু ফতোয়া নেওয়া ও সম্ভব না।যদ্দুর ওয়াজ এ দেখে সে সব ফলো করে তবে অন্ধ অনুকরণ না।ওনার ওয়াজ ভাল লাগে বেশি।ফতোয়া হোক বা অন্য মাসআালা হোক।কিন্তুু সবকিছুর ফতোয়া নেওয়া সম্ভব না হলে অন্য মুফতি সাহেব মানে নিজ এলাকার বা অনলাইনে মুফতি সাহেবের কাছে ফতোয়া নিলে কি কোন সমস্যা হবে?আর যখন বিয়ে করেছিল তখন মাযহাব কি সেটা সম্পর্কে জানত না,কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেছিল কাউকে না জানিয়ে কিন্তুু সেটা কোন মাযহাবে আছে বা কি সেটা জানত না।কিন্তুু পরে শুনেছে হানাফী মাযহাব।তখন ও শায়খ আহমাদউল্লা সাহেবের ওয়াজ দেখেছে ওনিও বলেছে বিয়ে হবে।কিন্তুু  কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওনি বার্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফতোয়া দেয়।সেসব ও মানে।যেসব ফতোয়া ওনার কাছ থেকে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না যোগাযোগের সমস্যার কারনে সেসব ফতোয়া অন্য আলেম বা মুফতি সাহেব থেকে নিলে কি কোন সমস্যা হবে?

২।কিছু কিছু ক্ষেত্রে ২ জনের ২ রকম উত্তর হলে যে কোন একজনের মাসআালা কি গ্রহন করা যাবে? ২ জনই যদি কোরআন সুন্নাহর আলোকে বলে তখন।

৩।এটা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন কাউকে লিখে প্রশ্ন করেছে মানে কোন মুফতি সাহেবকে বা আলেমকে।তহ ওনারা পুরা লিখা  না পড়ে উত্তর দিলে কি যে প্রশ্ন করেছে তার গুণাহ হবে?এতে যে প্রশ্ন করেছে সে তহ জানেই না।তার মনে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে পুরো পড়েছে কিনা।হয়ত শয়তানের ওয়াসওয়াসা। এতে যে প্রশ্ন করেছে ওর কি গুণাহ হবে এমন চিন্তা আসলে?এর জন্য ওল্টা প্রশ্ন করলে নিশ্চয় বেয়াদবি হবে।কারন হয়ত পুরো পড়ে উত্তর দিছে কিন্তুু যে প্রশ্ন করেছে ওর মনে ওয়াসওয়াসা আসতেছে পড়েছে নাকি পড়ে নি।এতে কি গুণাহ হবে? আর করণীয় কি?

৪।ধরেন কেউ লিখে প্রশ্ন করেছে কিন্তুু বুঝিয়ে লিখতে জানে না।ফতোয়া ও নিয়ে নিছে।মুফতি সাহেবগন নিশ্চয় ভেবে চিন্তে উত্তর দিবে।তহ মুফতি সাহেবগন তহ ওর লিখা দ্বারা যেটা বুঝেছে সেটা দিবে উত্তর।ওর লিখা ভালভাবে বুঝতে না পেরে যদি অন্য ফতোয়া দেয়,তাহলে  সে তহ সারাজীবন ওই ফতোয়া নিয়ে চলবে। এর জন্য মানুষ ওটাকে কি আল্লাহ শাস্তি দিবে? সেখানে মুফতি সাহেবদের তহ দোষ নেই ওনারা যেরকম বুঝেছে সেটার ওপর ফতোয়া,দিবে।আর মানুষ টাও তহ জানে না সে বুঝাতে পেরেছে কিনা।সারাজীবন ওই ফতোয়া মোতাবেক চললে কি গুণাহ হবে?

৫।কেউ ধরেন অন্য জনের সাথে কথা বলতেছে।ওয়াসওয়াসা আছে খুব।তার মনে ধরেন তালাকের বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।সে ব্যাক্তি আরেকজন ব্যাক্তি  ওটার কথার জবাবে মানে অন্য কথার জবাবে আচ্ছা বা ঠিক আছে এমন বলেছে।তখন ওর মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মানে কোন স্ত্রীর দিকে ইন্গিত হয়েছে কিনা আচ্ছা বলার দ্বারা কোন স্ত্রীর দিকে তা...... ইন্গিত করে বলেছে কিনা এমন ওয়াসওয়াসা আসলে মনে তাহলে কি তালাক হবে?

৬।এটা ও আমার নয়।এমনিতে জানার জন্য।কেউ যদি বলে তুর মত বউ আমি সকালে একটা ছাড়ি বিকালে একটা ছাড়ি। ধরেন ছেড়ে দেয় নাই।এমনে উপমা দিয়ে এমন বুঝালে কি  তালাক হয়?

৭।আবার কেউ তালাকের নিয়ত ছাড়া যদি বলে তুর মত বউয়ের দরকার নাই,একটা গেলে আরেকটা আসবে।যা গা বা যাইলে যা গা।এতে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে বা অস্বীকার করলে কি তালাক হয়?0

৮।ধরেন একটা বিষয়ে ফতোয়া ২ জন মুফতি সাহেব ২ রকম দিয়েছে।নিশ্চয় ২ জনই বিজ্ঞ  মুফতি সাহেব।তহ যে কোন একজনেরটা কি গ্রহন করা যাবে? যে প্রশ্ন করেছে সে মুফতি সাহেব ২ জনকেই ফলো করে।সবসময় ২ জনের কাছে প্রশ্ন করে।নিশ্চয় ওনারা অনেক ভাল জানেন।এতে কি সমস্যা হবে?

৯।কারো মনে তালাকের চিন্তা আসলে বা ওয়াসওয়াসা আসলে বিভিন্ন ধরনের খারাপ।তখন ঠিক আছে বললে কি তালাক হয়ে যায়? এটা এমনিতে জানার জন্য।

১০। যাইও গা এসে মাত্র  এটা ভবিষ্যৎ বাক্য না?মানে ভবিষ্যৎ এর কথা বলতেছিল।স্বামী বলতেছে  তুমি একটা যে তাড়াহুড়া শুরু  করছ  মানে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য।যাইওগা এসে মাত্র মানে পরের বারে যখন আসবে তখন চলে যেতে বলেছে এসে মাত্র ।মানে মেয়ে এখনো বাবার বাড়ি থাকে মাঝে মাঝে দেখা করে। এটা দ্বারা কি তালাক হবে? স্বামী এটা অভিমান করে বললে কি নিয়ত জিগ্যেস করতে হবে?

১১।একজন মেয়েকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।তার বাবা মা কেউ মানে নেই নি আর মেয়েটা এখনো ধরেন বাবার বাড়ি থাকে।তার মা যদি বলে এতটুকুতে চুপ থাক, চলে আয় এতটুকুতে।মেয়েটি যদি নিজেকে তালাক না দিয়ে শুধু মায়ের কথার উত্তরে ঠিক আছে বলে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? ঠিক আছে বললে কি তালাক হয়ে যায়?মেয়েটি চায়,স্বামীর সাথে থাকতে।তখন মায়ের ফাদে পড়ে এমনিতে ঠিক আছে বললে কি তালাক হয়ে যাবে?

১২।একজন TC এর বাংংলা জিগ্যেস করলে আরেকজন উত্তর দেয় ছাড়পত্র।ছাড়পত্র বলার সময় তালাকের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে আর সে ভয় পেতে থাকে কোন ইন্গিত হল কিনা  মনে মনে।এটা বলার দ্বারা কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"

মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি হানাফি ঘরে জন্ম নিছেন, এজন্য যে আপনাকে হানাফি হতেই হবে, বিষটা মূলত এমন নয়, বরং আপনি জেনে বুঝে যে কোনো মাযহাব কে ফলো করতে পারেন। আবার কিছূ কোনো মাযহাবের উপর আ’মল করার পর ভিন্ন মাযহাব আপনার নিকট কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী মনে হলে আপনি সেই মাযহাবকেও ফলো করতে পারেন। এতে শরীয়তের পক্ষ্য থেকে কোনো বিধি-নিষেধ নাই। তবে প্রবৃত্তির অনুসরণ না হওয়াই কাম্য ।নিজের সুযোগ সুবিধা দেখে কোনো মাযহাবকে গ্রহণ করা যাবে না। বরং কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তীতা দেখেই মাযহাব অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি সকল মাসআলায় হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে আপনাকে কুরআন তিলাওয়াতেও হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করতে হবে। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উপরের মূলনীতি জেনে নিলে, এভাবে বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।

(১)
আপনি যে মাযহাবকে ফলো করে চলেন,বা অতীত থেকে ফলো করে আসছেন,সেই মাযহাবের আলেমের ওয়াজ শুনবেন।সেই মাযহাবের আলোকেই জীবন পরিচালনা করবেন। ভিন্ন মাযহাবের অনুসারী বা মুজতাহিদে মুতলাক(তথা নিজে ইজতেহাদ করে হুকুম বর্ণনাকারী) এর অনুসরণ করবেন না। উনার বক্তব্যও শুনবেন না।

শায়খ আহমাদুল্লাহ।উনি বিজ্ঞ আলেম।তবে উনি কাউকে অনুসরণ করেননা।বরং নিজে ইজতেহাদ করে ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি হানাফি মাযহাবকে ফলো করে থাবেন, তাহলে উনার ফাতাওয়াকে গ্রহণ করবেন না।

(২)
যে কোনো একটি মাযহাকে গ্রহণ করতেই হবে। সেই মাযহাবের আলোকে যে ফাতাওয়া আসবে,সেই ফাতাওয়াকেই মানতে হবে।

(৩)
এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আমাদের জানা নেই।

(৪)
কারো গোনাহ হবে না।মুফতি সাহেবেরও গোনাহ হবে না।এবং ফাতাওয়া জিজ্ঞাসাকারীরও কোনো গোনাহ হবে না।

(৫)
না, তালাক হবে না।

(৬)
এভাবে বললে তালাক হবে কি না? সেটা জানা নেই।
স্থানীয় কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।অযথা ফালতু প্রশ্ন এখানে করবেন না।

(৭)
স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে বা অস্বীকার করলে তালাক হবে না।

(৮)
তার জন্য দ্বিতীয় জনের নিকট প্রশ্ন করা জায়েয হয়নি।যেহেতু সে প্রথম থেকেই প্রথম জনকে বিশ্বাস করে।সুতরাং সে তাৎক্ষণিক তাওবাহ করে প্রথম জনের ফাতাওয়াকে গ্রহণ করে নিবে।প্রথমজন ভুল বললেও উক্ত মুফতি সাহেবের কোনো গোনাহ হবে না।এবং ফাতাওয়া জিজ্ঞাসাকারীরও কোনো গোনাহ হবে না।

(৯)
কাল্পনিক প্রশ্নের জবাব দেয়ার মোটেই ইচ্ছা হয় না। কেননা এটা ফাতাওয়া সাইট।এখানে বাস্তবিক সমস্যা আসবে,এবং তার জবাব দেয়া হবে।কাল্পনিক প্রশ্নকে আমরা অযথা প্রশ্ন হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।

যাইহোক,
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।এটা সম্ভবত হাজার বার আমরা সাইটে লিখে দিয়েছি।

(১০)
তালাক হবে না।

(১১)
আপনি প্রশ্নটিকে একবার পড়ে দেখুনতো আপনি কি কিছু বুঝেছেন?

পড়ে তারপর ইডিট করে দিবেন।নতুনকরে কোনো প্রশ্ন করবেন না।বরং ইডিট করে দিবেন।

(১২)
তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...