আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
ঘরের মেঝে যে মপ দিয়ে প্রতিদিন মোছা হয় তাতে যে নাপাক মিশ্রিত পানি থাকে তা আমি পুরোপুরি সিওর।তো অনেক সময় হয়ত ভেজা পা নিয়ে ওই নাপাকীর উপর চলা ফেরা করা লাগে।এবং,অনেক সময় পায়জামাতে ও লেগে যায়(পায়জামা ভেজা থাকেলে)।এবং পরে যখন আমি গোসল করি তখন তো ওই নাপাকী টা আরো ছড়িয়ে যায় তাই না?এবং,পুরো পা ই নাপাক হয়ে যায়।তারপর ওই পায়জামা আবার পুকুরের(ছোট)ধোয়া হয়।এখন আমার প্রশ্ন হলো১. ওই পায়জামা কি নাপাকী বলে ধরবো?

বিঃদ্রঃ আমি কলেই গোসল করি শুধু জামাকাপড় গুলো ই পুকুরে ধোয়া হয় বেশিরভাগ।
২.ওই পায়জামার সাথে যে অন্যান্য জামাকাপড় ধোয়া হয় ওইগুলো ও কি নাপাক?

৩.অনেক সময় দেখা যায় যে ওই জামাকাপড় গুলো গোসল শেষে কলেই ধুলে ওইগুলো থেকে পানি এসে গায়ে বা ফ্লোরে পড়ে,তখন কি করনীয়?

৪.আমার কাছে ইসলামের এই পাক -নাপাকের বিষয়টাই বেশি কঠোর মনে হয়।যদি আলাদা ভাবে যদি শুধু নাপাকীর কথা চিন্তা করি মিশ্রিত পানি ব্যাতিত,তাহলে ওই নাপাকীর পরিমাণ কত, কত ক্ষুদ্র হবে!অথচ,এই যত সামান্য নাপাকী নিয়ে আমাকে এতো কসরত করা লাগে।যদি ব্যাপার টা একটু বলতেন।আমি আই ফতোয়ারি কোথাও যেনো দেখেছিলাম যে,"অনেক উলামাদের মতে সামান্য নাপাকীতে সমস্যা না(ঠিক মনে নাই তবে এমন টাইপেরই কিছু)

৫। অনুশীলনের জন্য আমার গাইড প্রয়োজন।আমাদের স্কুলের লাইব্রেরিতে অনেক গাইড পড়ে থাকতো,আমি সেইগুলো থেকে এনেই বর্তমানে পড়ছি।ওই গাইডগুলো প্রকাশনীর লোকেরা(হয়ত উচ্চপদস্থ নন)দিয়ে থাকেন টিচারদের যেনো টিচারদের ভালো লাগলে উনারা স্টুডেন্টদের সাজেস্ট করতে পারেন।তবে স্যারেরা ওই গাইডগুলো থেকে পড়ান না,উনাদের ব্যাক্তিগত গাইড থাকে। আর,আমি যে গাইডগুলো নিয়েছি এটা অনেকেই জানেন।স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা টিচারেরা জানতে পারলেও কিছু বলবেন না এই ব্যাপারে।তবে লাইব্রেরিয়ান জানেন।এখন,আমার জন্য ওই গাইডগুলো না বলে পড়া কি জায়েজ হবে যদি আমি এসএসসির পর ফেরত দিয়ে দেওয়ার নিয়ত করি?

আর,যদি জায়েজ হয় তাহলে সেইগুলো তে কলম দিয়ে দাগানো যাবে,যেমনটা আমি নিজের হলে করতাম?

1 Answer

0 votes
by (721,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
পায়জামাতে নাপাক মভের ছিটা লাগলে, পায়জামা নাপাক বলেই বিবেচিত হবে।

(২)
উক্ত নাপাক পায়জামার সাথে আরো যত পবিত্র কাপড় লাগবে, সেগুলোও নাপাক বলে বিবেচিত হবে।

(৩)
নাপাক কাপড়কে তিন বার নিংড়িয়ে ধৌত করার পর সেই কাপড় থেকে নাপাকির ছিটা গায়ে বা কাপড়ে লাগলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না। তবে না নিংড়ালে কাপড় বা শরীর নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৪)
আপনি কখনো বাথরুমে বা কলে গোসল করবেন না,কাপড়ও ধৌত করবেন না।বরং হাউজ বা পুকুরে গোসল করবেন,কাপড় ধৌত করবেন। এতেকরে আপনার কাপড় নাপাক হবে না।শরীরও নাপাক হবে না। বেশী পানি তথা পুকুরে অদৃশ্যমান নাপাক কাপড়কে একবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যায়।তখন নিংড়ানোও শর্ত নয়।

(৫)
আপনাকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষ্যেই উক্ত গাইড গ্রহণ করতে হবে।কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত উক্ত গাইড নিয়ে আসা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...