আসসালামু আলাইকুম
ঘরের মেঝে যে মপ দিয়ে প্রতিদিন মোছা হয় তাতে যে নাপাক মিশ্রিত পানি থাকে তা আমি পুরোপুরি সিওর।তো অনেক সময় হয়ত ভেজা পা নিয়ে ওই নাপাকীর উপর চলা ফেরা করা লাগে।এবং,অনেক সময় পায়জামাতে ও লেগে যায়(পায়জামা ভেজা থাকেলে)।এবং পরে যখন আমি গোসল করি তখন তো ওই নাপাকী টা আরো ছড়িয়ে যায় তাই না?এবং,পুরো পা ই নাপাক হয়ে যায়।তারপর ওই পায়জামা আবার পুকুরের(ছোট)ধোয়া হয়।এখন আমার প্রশ্ন হলো১. ওই পায়জামা কি নাপাকী বলে ধরবো?
বিঃদ্রঃ আমি কলেই গোসল করি শুধু জামাকাপড় গুলো ই পুকুরে ধোয়া হয় বেশিরভাগ।
২.ওই পায়জামার সাথে যে অন্যান্য জামাকাপড় ধোয়া হয় ওইগুলো ও কি নাপাক?
৩.অনেক সময় দেখা যায় যে ওই জামাকাপড় গুলো গোসল শেষে কলেই ধুলে ওইগুলো থেকে পানি এসে গায়ে বা ফ্লোরে পড়ে,তখন কি করনীয়?
৪.আমার কাছে ইসলামের এই পাক -নাপাকের বিষয়টাই বেশি কঠোর মনে হয়।যদি আলাদা ভাবে যদি শুধু নাপাকীর কথা চিন্তা করি মিশ্রিত পানি ব্যাতিত,তাহলে ওই নাপাকীর পরিমাণ কত, কত ক্ষুদ্র হবে!অথচ,এই যত সামান্য নাপাকী নিয়ে আমাকে এতো কসরত করা লাগে।যদি ব্যাপার টা একটু বলতেন।আমি আই ফতোয়ারি কোথাও যেনো দেখেছিলাম যে,"অনেক উলামাদের মতে সামান্য নাপাকীতে সমস্যা না(ঠিক মনে নাই তবে এমন টাইপেরই কিছু)
৫। অনুশীলনের জন্য আমার গাইড প্রয়োজন।আমাদের স্কুলের লাইব্রেরিতে অনেক গাইড পড়ে থাকতো,আমি সেইগুলো থেকে এনেই বর্তমানে পড়ছি।ওই গাইডগুলো প্রকাশনীর লোকেরা(হয়ত উচ্চপদস্থ নন)দিয়ে থাকেন টিচারদের যেনো টিচারদের ভালো লাগলে উনারা স্টুডেন্টদের সাজেস্ট করতে পারেন।তবে স্যারেরা ওই গাইডগুলো থেকে পড়ান না,উনাদের ব্যাক্তিগত গাইড থাকে। আর,আমি যে গাইডগুলো নিয়েছি এটা অনেকেই জানেন।স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা টিচারেরা জানতে পারলেও কিছু বলবেন না এই ব্যাপারে।তবে লাইব্রেরিয়ান জানেন।এখন,আমার জন্য ওই গাইডগুলো না বলে পড়া কি জায়েজ হবে যদি আমি এসএসসির পর ফেরত দিয়ে দেওয়ার নিয়ত করি?
আর,যদি জায়েজ হয় তাহলে সেইগুলো তে কলম দিয়ে দাগানো যাবে,যেমনটা আমি নিজের হলে করতাম?