গীবত নিয়ে প্রশ্ন জানার ছিল

Question

আসসালামুআলাইকুম।

কেউ যদি আমার কাছে তার সাথে একজন দুর্ব্যবহার করেছে সেটি শেআর করে, যে বাজে ব্যাবহার করেছে সে আমাকে এটা বলা হয়েছে জানলে কষ্ট ও পাবেনা বরং বলতে পারে (সম্ভাব্য) "যে খারাপ ব্যাবহার করেছি ভালই করেছি তাতে কি হয়েছে।" তাতেও কি এটা গীবত এর পর্যায়ে পড়বে? আমি তাকে এই মানুষ টা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেই এবং বলি এসব নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিতে।
১. গীবত হয়েছে কি ?

২. হয়ে থাকলে কি তার কাছে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক? তার ব্যবহারে এখানকার অনেকেই অতিষ্ঠ এবং আমি ক্ষমা চাইতে গেলে সিচুয়েশন প্রচুর জটিল হয়ে যাবে। সে কিভাবে এটি নিবে তাও জানিনা। দয়া করে জানাবেন।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(চার) মুসলমানকে কারো মন্দ থেকে বাঁচাতে গিবত করা। এটা পাঁচ ভাবে হতে পারে।যথাঃ-
(১)হাদীসের রাবীদের দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা।এটা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয।এমনকি শরীয়তকে বাঁচানোর জন্য এটা ওয়াজিব পর্যায়ের।
(২)বিয়ে-শাদীতে কোনো এক পক্ষের খোঁজ নিতে গিয়ে মাশওয়ারার সময় কারো সম্পর্কে সঠিক সংবাদ দেয়া।
(৩)ক্রেতাকে অজ্ঞাতবশত কোনো দোষণীয় জিনিষ ক্রয় করতে দেখলে, তখন তাকে সে সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া।বিক্রেতাকে কষ্ট দেয়া বা ফাসাদ সৃষ্টি করার মনোভাব থাকলে তখন জায়েয হবে না।
(৪)যদি কেউ দেখে যে একজন ফকিহ কোনো এক ফাসিক বা বিদাতি লোকের নিকট থেকে দ্বীন গ্রহণ করছে,তাহলে নসিহতের উদ্দেশ্যে ঐ ফকিহকে বাস্তব হাল সম্পর্কে জ্ঞাত করা উচিত।
(৫)যদি কোনো ব্যক্তির উপর কারো অভিভাবকত্ব থাকে,কিন্তু সে কোনো কারণে ঐ ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব বাস্তবায়ন করে ওকে শাসন করতে পারে না,এমতাবস্থায় সে তার অভিভাবক(অর্থাৎ ঐ অভিভাবকের অভিভাবক)এর নিকট প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করতে পারবে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজের উপর জুলুমের কষ্ট দূর করতে বা নিজের জন্য সাহায্য চাইতে কারো কাছে বললে সেটা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।